রাজ্যের চার পুরনিগমে ভোটের আগেই সম্পন্ন হবে শাসক দল তৃণমূলের সাংগঠনিক নির্বাচন। আগামী ২রা ফেব্রুয়ারি নেতাজি ইন্ডোর স্টেডিয়ামে তৃণমূলের সাংগঠনিক নির্বাচন হবে। তবে চেয়ারপার্সন ও সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদে কোনও ভোট হবে না। মঙ্গলবার জানিয়েছেন দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এই ভোটে রিটার্নিং অফিসারের ভূমিকায় থাকবেন তিনি।
জোড়া-ফুলের মহাসচিবের কথা অনুযায়ী, সবার আগে দলের চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হবেন। পরে ওয়ার্কিং কমিটি ও অন্যসব পদে ভোট হবে। ভোটার তালিকা ২৫ জানুয়ারির মধ্যে প্রকাশ করা হবে। কমিশনের নির্দেশ মতো চলতি বছর ৩১ মার্চের মধ্যে তৃণমূলের সাংগঠনিক নির্বাচন করতে হত, যা হবে ২রা ফেব্রুয়রি।
২০১৭ সালের তৃণমূলের সাংগঠনিক ভোটে চেয়ারপার্সন নির্বাচিত হয়েছিলেন মমতা। এবারও সেই পথেই দল হাঁটতে চলেছে বলে মনে করা হচ্ছে। তবে, কোভিড আবহে ভোট নিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মন্তব্যকে কেন্দ্র করে দলের অন্দরে পরস্পর বিরোধী মত উঠে এসেছে। প্রকাশ্যে তা নিয়ে আকছাআকছিও চলেছে। নজরে পড়েছে দিদি গোষ্ঠীর সঙ্গে দাদা গোষ্ঠীর বিরোধ। এই আবহে ঘাস-ফুলের এবারের সাংগঠনিক নির্বাচন বেশ কৌতহলের বলে মত রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের।
কিন্তু, বিতর্ক এড়াতে চেয়ারপার্সন ও সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক পদে কোনও ভোট হবে না বলে স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। এদিন সাংবাদিক বৈঠক থেকে তৃণমূলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেছেন, 'দলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিকল্প নেই। তিনিই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে সাধারণ সম্পাদক করেছেন। ফলে নির্বাচন হবে বাকি সব পদের জন্য।'