New Update
/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2020/10/tmc-rally-759.jpg)
তৃণমূলের শান্তি মিছিল।
"মণীশের খুনের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও সম্পর্ক নেই, ছিল না। পুলিশ তদন্ত করছে। মণীশের হত্যাকে কেন্দ্র করে বিজেপি রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে।"
তৃণমূলের শান্তি মিছিল।
ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে শান্তি মিছিল করল তৃণমূল কংগ্রেস। এই মিছিলে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বসহ মণীশ শুক্লা হত্যাকান্ডে অভিযুক্তরাও পায়ে পা মেলান। টিটাগড় থেকে মিছিল শুরু হয়, শেষ হয় ব্যারাকপুরের চিড়িয়া মোড়ে। মিছিলের নেতৃত্বে ছিলেন দমদমের সাংসদ সৌগত রায়, রাজ্যের মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম, মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, নির্মল ঘোষ, মদন মিত্র সহ দলের জেলা নেতৃত্ব। এছাড়া মণীশ খুনে অভিযুক্ত উত্তম দাস, প্রশান্ত চৌধুরী মিছিলে ছিলেন। মিছিল শেষে চিড়িয়ামোড়ে এক সভায় ফিরহাদ হাকিম হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেন, "বাংলাকে উত্তরপ্রদেশ, বিহার বানাতে চাইছে বিজেপি। সেই উদ্দেশ্য সফল হবে না।" এদিকে বিজেপির কটাক্ষ, খুনের রাজনীতি করে এখন শান্তি মিছিল করছে তৃণমূল।
বিজেপির যুব নেতা ও প্রাক্তন কাউন্সিলর মণীশ শুক্লা খুনের পর উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চল। এর আগে বিজেপি ব্যারাকপুর থেকে টিটাগড় পর্যন্ত মোমবাতি মিছিল করে। এদিন টিটাগড় থেকে ব্যারাকপুর পর্যন্ত শান্তি মিছিল করে তৃণমূল। দলের জেলা সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক বলেন, "১৬ অক্টোবর জগদ্দল ও নোওয়াপাড়ায় আরও দুটি শান্তি মিছিল হবে। ১৭ অক্টোবরও মিছিল হবে।"
তৃণমূল নেতৃত্বের দাবি, ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিং জয়ের পর সেখানে সন্ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করতে শুরু করে। মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বলেন, "২০১৯ লোকসভায় অল্প ভোটে এখানে এক সাংসদ জয়ী হয়েছেন। তার মানে এই নয় জমিদারী পেয়ে গেলেন। তারপর থেকেই পার্টি অফিস দখল, বোমাবাজি, মানষকে মারধর চলতে থাকে। এর প্রতিবাদে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সভা করেছেন। ব্যারাকপুরে বিজেপির আতঙ্ক ও অশান্তির প্রতিবাদে এই শান্তি মিছিল।" তাঁর দাবি, "বিজেপি এরাজ্যে বিহার, উত্তরপ্রদেশের সংস্কৃতি নিয়ে আসছে। সেখানে এনকাউন্টার করে অপরাধীকে মেরে ফেলা হয়। বাংলায় বিচারক শাস্তি দেয়।" রাজ্যপালকে কটাক্ষ করে পুরমন্ত্রীর বক্তব্য, "শিখ নিয়ে যেভাবে রাজ্যপাল সুরসুরি দিচ্ছে তাতে ওই পদে থাকার কোনও যোগ্যতা তাঁর নেই। এটা কোন রাজ্যপাল? বিজেপির পঙ্গপাল।"
মণীশ খুনের এফআইআর-এ ব্যারাকপুরের পুরপ্রশাসক উত্তম দাস ও টিটাগড়ের পুরপ্রশাসক প্রশান্ত চৌধুরীর নাম রয়েছে। এদিন তৃণমূল নেতৃত্ব দাবি করেন, এঁদের বিরুদ্ধে অযথা অভিযোগ করা হয়েছে। এই ঘটনার সঙ্গে এঁরা কোনওভাবেই যুক্ত নয়।সাংসদ সৌগত রায়ের দাবি, "মণীশের খুনের সঙ্গে তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও সম্পর্ক নেই, ছিল না। পুলিশ তদন্ত করছে। মণীশের হত্যাকে কেন্দ্র করে বিজেপি রাজনৈতিক ফায়দা তোলার চেষ্টা করছে।"
শিল্পাঞ্চলে সন্ত্রাসের চিত্র তুলে ধরেন খাদ্যমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। ফের এই অঞ্চলে শান্তি মিছিলের ঘোষণাও করেন তিনি। জ্যোতিপ্রিয় বলেন, "সন্ত্রাস করে বীজপুর থেকে টিটাগড় পর্যন্ত ২৫২টি তৃণমূলের কার্যলয় দখল করেছিল বিজেপি। সব কটা কার্যালয় আমরা উদ্ধার করেছি।" তিনি জানিয়ে দেন, ১৬ অক্টোবর দুটি শান্তি মিছিল হবে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে। এদিকে ১৬ অক্টোবর বিজেপি ব্যারাকপুরে মিছিল করবে। তৃণমূল ও বিজেপির মিছিল পাল্টা মিছিলকে কেন্দ্র করে ফের উত্তেজনার পারদ চড়ছে ব্যারাকপুর শিল্পাঞ্চলে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন