জয়প্রকাশ দাস
এখনও গ্রাম পঞ্চায়েতের কোনও স্তরেই বোর্ড গঠন শুরু হয়নি। তারই মধ্য়ে জঙ্গলমহলে গ্রামপঞ্চায়েত নির্বাচনের ফলাফল নিয়ে কাটাছেঁড়া শুরু করে দিল তৃণমূল কংগ্রেস। এখানে গ্রাম দখলের লড়াইয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের ঘাড়ে নিঃশ্বাস ফেলেছে বিজেপি। এখানে গ্রামপঞ্চায়েত, পঞ্চায়েত সমিতি ও জেলা পরিষদ, তিনটে ক্ষেত্রেই উল্লেখযোগ্য় ফল করেছে পদ্মশিবির। জঙ্গলমহলে গেরুয়া বাহিনীর উত্থান নিয়ে তৃণমূলের অন্দরমহলে একাধিক প্রশ্ন উঠেছে। আদিবাসী অধ্যুষিত এই অঞ্চলের একটা বড় অংশ তৃণমূল কংগ্রেসের দিক থেকে কেন মুখ ঘুরিয়ে নিল, এই প্রশ্নে জেরবার দলের জেলা কমিটিগুলো। তাহলে কি এখানকার মানুষ সরকারি প্রকল্প থেকে বঞ্চিত হয়েছেন? কেন এই ফল, সংগঠনের হাল খারাপ হলে আগে থেকে শীর্ষ নেতৃত্বকে তা নিয়ে জানানো হয়নি কেন, এ রকম নানা বিষয় নিয়ে প্রশ্নের সম্মুখীন জেলার নেতারা। এই ফলে বিব্রত তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্বও। জঙ্গলমহলের প্রতিটি বুথের বিষয়ে দায়িত্বপ্রাপ্তদের কাছ থেকে বিস্তারিত রিপোর্ট তলব করেছে দলীয় নেতৃত্ব।
আরও পড়ুন, নজরে লোকসভা ভোট, তৃণমূল ও মমতার মন্ত্রিসভায় রদবদল!
বাঁকুড়া, পুরুলিয়া, ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুরে পঞ্চায়েতে ভাল ফল করেছে বিজেপি। রাজনৈতিক মহলের ব্য়াখ্য়া, আদিবাসী অধ্য়ুষিত এলাকায় গেরুয়া শিবিরের সমর্থন বেড়ে যাওয়ায় স্বভাবতই চিন্তিত শাসকদল। কারণ, আগামী বছর লোকসভার ভোট। এই ফল যথেষ্ট বেগ দেবে তৃণমূল কংগ্রেসকে। বাঁকুড়া ও পুরুলিয়ায় দলের পর্যবেক্ষক যুব তৃণমূলের সর্বভারতীয় সভাপতি সাংসদ অভিষেক বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। অন্য় দিকে ঝাড়গ্রাম ও পশ্চিম মেদিনীপুরের পর্যবেক্ষক দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক সুব্রত বক্সী। শীর্ষ নেতৃত্বের নির্দেশে জঙ্গলমহলে গিয়ে বৈঠক করেছেন সুব্রত বক্সী।
আরও পড়ুন, দুর্নীতির জন্য়ই পঞ্চায়েতে হার লালগড়ে, দল ছাড়তে চান তৃণমূল ব্লক সভাপতি
অবশ্য় এর আগে লালগড় ব্লকের সভাপতি বনবিহারী রায় দলের একাংশের দুর্নীতি নিয়ে সরব হয়েছিলেন। তাঁর দাবি, দল তখন কোনও ব্য়বস্থা নেয়নি। কড়া ব্য়বস্থা নিলে নির্বাচনে এই হাল হত না। সূত্রের খবর, একেবারে বুথ স্তরের রিপোর্ট চেয়ে পাঠানো হয়েছে। শীর্ষ স্তরে আলোচনার পর প্রয়োজনীয় ব্য়বস্থা নেওয়া হবে।