"অনুব্রত মণ্ডল বড় খেলোয়াড়, আর আমিও মারামারি করতে চাই না", বললেন রাজ্যের মন্ত্রী

মঙ্গলকোটের বিধায়ক তথা রাজ্যের গ্রন্থাগারমন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী দীর্ঘ দিন ধরে তাঁর নির্বাচনী এলাকায় কোনও কাজকর্ম করতে পারছেন না।

মঙ্গলকোটের বিধায়ক তথা রাজ্যের গ্রন্থাগারমন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী দীর্ঘ দিন ধরে তাঁর নির্বাচনী এলাকায় কোনও কাজকর্ম করতে পারছেন না।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

রাজ্যের মন্ত্রীই ঢুকতে পারছেন না তাঁর নির্বাচনী এলাকায়। বেআইনি বালির কারবার নিয়ে সোচ্চার হয়েছেন তিনি। তৃণমূল কর্মীদের গাঁজার কেস দিয়ে জেল খাটানো-সহ নানা অভিযোগের প্রতিকারের জন্য বর্ষীয়াণ মন্ত্রী দ্বারস্থ হয়েছেন পূর্ব বধমান জেলা পুলিশ সুপারের কাছে। বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল সম্পর্কে সিদ্দিকুল্লা চৌধুরীর বক্তব্য, "উনি বড় খেলোয়ার ওঁর কথা আমি কী বলব। আমি ওই পর্যায়ের খেলোয়াড় নই।"

Advertisment

মঙ্গলকোটের বিধায়ক তথা রাজ্যের গ্রন্থাগারমন্ত্রী সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী দীর্ঘ দিন ধরে তাঁর নির্বাচনী এলাকায় কোনও কাজকর্ম করতে পারছেন না। অনুব্রত মণ্ডলের অনুগামীরাই সেখানে দলের কাজকর্ম পরিচালনা করেন। সিদ্দিকুল্লার অভিযোগ, তৃণমূল করা সত্বেও মিথ্যা মামলায় ফাঁসানো হয়েছে। পুলিশকে ক্ষমতার অপব্যবহার করে চাপ দিয়ে গ্রেফতার করানো হচ্ছে। সেই তালিকা আমি পুলিশ সুপারের কাছে তুলে দিলাম। এর আগে আমি মুখ্যমন্ত্রীকেও চিঠি দিয়ে সব কিছু জানিয়েছি। তৃণমূল কর্মীদের গ্রামেও ঢুকতে দেওয়া হচ্ছে না। দল কর্মসূচি নিতে বলছে। তবে আমি গেলে ঝঞ্ঝাট হবে তাই সেখানে তিনি যাচ্ছেন না। এমনটাই জানিয়ে দেন সিদ্দিকুল্লা।

আরও পড়ুন, হার্মাদমুক্ত দিবসে শুভেন্দুর স্মৃতিচারণা, বর্তমান রাজনীতি নিয়ে কোনও মন্তব্য নয়

রাজ্যের সর্বত্র বালির বেআইনি কারবার নিয়ে এত দিন অভিযোগ করে আসছিল বিজেপি, সিপিএম ও কংগ্রেস। এবার সরব হলেন সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। তিনি বলেন, "মঙ্গলকোটে ২২টি বালির ঘাট রয়েছে। তবে এক স্লিপে একাধিক ট্রাকে বালি তোলা হচ্ছে। সরকারের প্রচুর টাকা রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে।"

Advertisment

আরও পড়ুন, ব্রাত্যর দাবি, ‘মিমের স্তম্ভ তৃণমূলে’, পাল্টা জবাব মিমের

বর্ধমানের মঙ্গলকোট, আউশগ্রাম ও কেতুগ্রামে দলের সাংগঠনিক দায়িত্বে রয়েছেন অনুব্রত মন্ডল। অনুব্রত প্রসঙ্গে মন্ত্রী বলেন, "তিনি দাঁড়াবেন, তিনিই জেতাবেন। আমি ওর অনুগত হয়ে কাজ করতে পারব না। ওর মেজাজ চিনি ওকে জানি। গত নির্বাচনে ওরা কী করেছে সেটা মানুষ জানে। আমি ওই ঝুঁকি নিয়ে হাত পোড়াতে যাব না। গেলে স্বাধীন ভাবে কাজ করব।" তবে এখানে থেমে যাননি সিদ্দিকুল্লা চৌধুরী। মন্ত্রীর মন্তব্য, "উনি বড় খেলোয়াড়। ওনার কথা আমি কী বলব। আমি ওই পর্যায়ের খেলোয়ার নই। আমি মারামারি করতে চাই না। মারামারি করুক এটাও আমি চাই না। দল চাইছে উন্নয়নের ভিত্তিতে জিতবে।"

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

anubrata mondal tmc