রামের পূর্বপুরুষের নাম পাওয়া যায়, দুর্গার পাওয়া যায় কি? শুক্রবার এক আলোচনা চক্রে এমন প্রশ্ন করে বিতর্ক বাড়িয়েছেন দিলীপ ঘোষ। আর তাঁর এই বেফাঁস মন্তব্যকে হাতিয়ার করে এবার আসরে তৃণমূল কংগ্রেস। শাসক দলের তরফে অভিযোগ, 'দেবী দুর্গার অবমাননা করেছেন দিলীপ ঘোষ। রাজ্যের মহিলারা এই অপমান মেনে নেবেন না।'
শুক্রবার সর্বভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যম গোষ্ঠী আয়োজিত আলোচনাচক্রে তৃণমূলের সমালোচনায় সরব হন দিলীপ। সেই সময় দুর্গা নিয়ে মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বলেন, “খুব দুর্ভাগ্যের কথা। এমন একটা দল (তৃণমূল কংগ্রেস) যার কোনও মাথামুন্ডু নেই। কোনও আদর্শ নেই। ধর্মের জায়গায় রাজনীতির কথা বলে। রাজনীতির জায়গায় কথা বলে ধর্ম-জাতপাত নিয়ে। আমরা এমনটা করি না। আমরা খোলাখুলি রাজনীতি করি। ভগবান রাম এক জন রাজা ছিলেন। রামের পূর্বপুরুষের নাম পাওয়া যায়, দুর্গার পাওয়া যায় কি?
দিলীপের ওই মন্তব্য নিয়ে তাঁকে আক্রমণ করতে দলের টুইটার হ্যান্ডলে দিলীপ ঘোষকে ট্যাগ করে লেখা হয়, “অভাবনীয়! বাংলার পবিত্র মাটিতে বসে দিলীপবাবু আমাদের দেবী দুর্গাকে অপমান করেছেন! দেবী দুর্গা আমাদের মা, আমাদের শক্তি, আমাদের অনুপ্রেরণা! যাঁরা নিজেদের হিন্দু ধর্মের রক্ষক ও সমর্থক বলে দাবি করেন, তাঁরাই এখন দেবী দুর্গার অবমাননা করছেন।”
দলের পক্ষ থেকে ‘বাংলার গর্ব মমতা’ টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে লেখা হয়েছে, ‘বাংলার নারীরা মা দুর্গার অপমান কোনও দিনই মেনে নেবেন না। বাংলার সংস্কৃতিতে দেবী দুর্গা একদিকে সকলের মা এবং রক্ষক। অপর দিকে তিনি সকলের মেয়েও যে বছরে একবার প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে আসে এবং যাওয়ার সময় সবাইকে কাঁদিয়ে দিয়ে যায়’।
শুক্রবারের আলোচনাচক্রে দিলীপ তথা গেরুয়া শিবিরকে আক্রমণ করতে ছাড়েনি তৃণমূলও। দলের তরফে অনুষ্ঠানে উপস্থিতি বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। রামকে নিয়ে বিজেপি দেশের ধর্মীয় ইতিহাস বদল করার প্রচেষ্টা শুরু করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। পাশাপাশি, দুর্গা যে শুধুমাত্র বাংলার ভাবনা নয়, হিন্দুত্বেরও ভাবনা, তেমন মন্তব্যও করেন কাকলি। তাঁর কথায়, “ভারত হল বহু ভাবনার সঙ্গম। বহু রাজ্য রামের আরাধনা করে, ঠিক যেমন আমরা (বাঙালিরা) মা দুর্গাকে রক্ষক হিসেবে দেখি। বাংলায় আমরা মা দুর্গার পুজো করি।” এর পরেই বিজেপি-কে ‘ভারতীয় জুমলা পার্টি’ বলে কটাক্ষ করেন তিনি। বিজেপি যে অতি দক্ষিণপন্থীদের অঙ্গুলিহেলনে চলছে, সে দাবিও করেছেন কাকলি। গেরুয়া শিবিরকে কটাক্ষ করে তাঁর মন্তব্য, “দেশের ধর্মীয় ইতিহাসকে বদল করার চেষ্টা চলছে। যা অত্যন্ত লজ্জাজনক।
'দুর্গার পূর্বপুরুষে'র নাম নিয়ে বেফাঁস দিলীপ, 'দেবী দুর্গা আমাদের রক্ষক', পাল্টা তৃণমূল
সেদিন প্রশ্ন করেন, 'রামের পূর্বপুরুষের নাম পাওয়া যায়, দুর্গার পাওয়া যায় কি?'
Follow Us
রামের পূর্বপুরুষের নাম পাওয়া যায়, দুর্গার পাওয়া যায় কি? শুক্রবার এক আলোচনা চক্রে এমন প্রশ্ন করে বিতর্ক বাড়িয়েছেন দিলীপ ঘোষ। আর তাঁর এই বেফাঁস মন্তব্যকে হাতিয়ার করে এবার আসরে তৃণমূল কংগ্রেস। শাসক দলের তরফে অভিযোগ, 'দেবী দুর্গার অবমাননা করেছেন দিলীপ ঘোষ। রাজ্যের মহিলারা এই অপমান মেনে নেবেন না।'
শুক্রবার সর্বভারতীয় একটি সংবাদমাধ্যম গোষ্ঠী আয়োজিত আলোচনাচক্রে তৃণমূলের সমালোচনায় সরব হন দিলীপ। সেই সময় দুর্গা নিয়ে মন্তব্য করেন তিনি। তিনি বলেন, “খুব দুর্ভাগ্যের কথা। এমন একটা দল (তৃণমূল কংগ্রেস) যার কোনও মাথামুন্ডু নেই। কোনও আদর্শ নেই। ধর্মের জায়গায় রাজনীতির কথা বলে। রাজনীতির জায়গায় কথা বলে ধর্ম-জাতপাত নিয়ে। আমরা এমনটা করি না। আমরা খোলাখুলি রাজনীতি করি। ভগবান রাম এক জন রাজা ছিলেন। রামের পূর্বপুরুষের নাম পাওয়া যায়, দুর্গার পাওয়া যায় কি?
দিলীপের ওই মন্তব্য নিয়ে তাঁকে আক্রমণ করতে দলের টুইটার হ্যান্ডলে দিলীপ ঘোষকে ট্যাগ করে লেখা হয়, “অভাবনীয়! বাংলার পবিত্র মাটিতে বসে দিলীপবাবু আমাদের দেবী দুর্গাকে অপমান করেছেন! দেবী দুর্গা আমাদের মা, আমাদের শক্তি, আমাদের অনুপ্রেরণা! যাঁরা নিজেদের হিন্দু ধর্মের রক্ষক ও সমর্থক বলে দাবি করেন, তাঁরাই এখন দেবী দুর্গার অবমাননা করছেন।”
দলের পক্ষ থেকে ‘বাংলার গর্ব মমতা’ টুইটার অ্যাকাউন্ট থেকে লেখা হয়েছে, ‘বাংলার নারীরা মা দুর্গার অপমান কোনও দিনই মেনে নেবেন না। বাংলার সংস্কৃতিতে দেবী দুর্গা একদিকে সকলের মা এবং রক্ষক। অপর দিকে তিনি সকলের মেয়েও যে বছরে একবার প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে আসে এবং যাওয়ার সময় সবাইকে কাঁদিয়ে দিয়ে যায়’।
শুক্রবারের আলোচনাচক্রে দিলীপ তথা গেরুয়া শিবিরকে আক্রমণ করতে ছাড়েনি তৃণমূলও। দলের তরফে অনুষ্ঠানে উপস্থিতি বারাসতের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার। রামকে নিয়ে বিজেপি দেশের ধর্মীয় ইতিহাস বদল করার প্রচেষ্টা শুরু করেছে বলে অভিযোগ করেন তিনি। পাশাপাশি, দুর্গা যে শুধুমাত্র বাংলার ভাবনা নয়, হিন্দুত্বেরও ভাবনা, তেমন মন্তব্যও করেন কাকলি। তাঁর কথায়, “ভারত হল বহু ভাবনার সঙ্গম। বহু রাজ্য রামের আরাধনা করে, ঠিক যেমন আমরা (বাঙালিরা) মা দুর্গাকে রক্ষক হিসেবে দেখি। বাংলায় আমরা মা দুর্গার পুজো করি।” এর পরেই বিজেপি-কে ‘ভারতীয় জুমলা পার্টি’ বলে কটাক্ষ করেন তিনি। বিজেপি যে অতি দক্ষিণপন্থীদের অঙ্গুলিহেলনে চলছে, সে দাবিও করেছেন কাকলি। গেরুয়া শিবিরকে কটাক্ষ করে তাঁর মন্তব্য, “দেশের ধর্মীয় ইতিহাসকে বদল করার চেষ্টা চলছে। যা অত্যন্ত লজ্জাজনক।