স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর ভার্চুয়াল জনসভা নিয়ে এবার তোপ দাগলেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বিজেপি সোশাল মিডিয়ায় জোরদার প্রচার করছে মঙ্গলবারের জনসভা নিয়ে। এমনকী রাজ্যের হাজার হাজার বুথে এলইডি পর্দায় এই জনসভা দেখানোর ব্যবস্থা চলছে। এরমধ্যেই তৃণমূলনেত্রী এদিন বিজেপিকে কটাক্ষ করে বলেন, "বাড়িতে বসে যাঁরা ভার্চুয়াল জনসভার কথা বলছেন, তাঁরা তিন মাসে কতবার বাইরে বেরিয়েছেন?"
আনলক ওয়ান-এ অমিত শাহর ভার্চুয়াল জনসভা সফল করতে আদা জল খেয়ে প্রচারে নেমেছে বিজেপি। এদিকে, অন্য বছর এই জুন মাস থেকেই ২১ জুলাইয়ের প্রচার শুরু হয়ে যেত। অথচ এবার এখনও পর্যন্ত ২১ জুলাইয়ের কোনও পরিকল্পনার কথাই বলেনি তৃণমূল কংগ্রেস। তৃণমূলনেত্রী সোমবার বলেন, "বিজেপি যেভাবে কোটি কোটি টাকা খরচ করছে, সেই সামর্থ্য তৃণমূল কংগ্রেসের নেই।" এখনও ২১ জুলাই শহিদ দিবস নিয়ে কোনও সিদ্ধান্ত হয়নি বলেও জানিয়েছেন মমতা।
একদিকে করোনা-লকডাউন, অন্যদিকে আমফান। বাইরের রাজ্য থেকে ফিরে আসা শ্রমিক। নানা বিষয়ে বিপর্যস্ত এ রাজ্য। এই সময়ের মধ্য তৃণমূলনেত্রী কয়েকটি ভিডিও কনফারেন্স করেছেন। কিন্তু এবার ২১ জুলাই শহিদ দিবস কোথায় হবে, কীভাবে হবে তা স্পষ্ট নয়। মমতা বলেছেন, "বিহারের ভার্চুয়াল সমাবেশে ৭০ হাজার বড় বড় এলইডি স্ক্রিন লাগিয়ে ২ লক্ষ লোককে দেখাতে কোটি কোটি টাকা খরচ করা হয়েছে। বিজেপির মত কোটি কোটি টাকা খরচ করার সামর্থ্য নেই তৃণমূলের। ২১ জুলাইয়ের সমাবেশ কীভাবে হবে তা নিয়ে দলে আলোচনা করব। পরিস্থিতি দেখে সিদ্ধান্ত নেব।"
কিন্তু প্রশাসনিক ও দলীয় পর্যায়ে মাঝে-মধ্যেই ভিডিও কনফারেন্স করেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তাহলে কেন বিজেপির ক্ষেত্রে অর্থ খরচের কথা বলছেন? এই প্রশ্ন উঠতে পারে ভেবে এদিন ভার্চুয়াল জনসভা ও ভিডিও কনফারেন্সের পার্থক্য ব্যাখ্যা করেন মমতা। তৃণমূল সুপ্রিমো বলেন, "ভার্চুয়াল জনসভা আর ভিডিও কনফারেন্স এক জিনিস নয়। ভিডিও কনফারেন্সে আমি মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে জেলাশাসকদের সঙ্গে বৈঠক করি আবার কখনও দলের ২০ জন নেতাকে নিয়েও বৈঠক করে থাকি।"