অরাজনৈতিক কর্মসূচি অব্যাহত পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারীর। বৃহস্পতিবার ঘাটালে বিজয়া সম্মেলনীতে অংশ নেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। ঘাটালে বিদ্যাসাগর স্কুলের মাঠে একটি ক্লাবের বিজয়া সম্মেলনীতে শুভেন্দু অধিকারী স্মরণ করলেন ঘাটালে তাঁর রাজনৈতিক আন্দোলনের কথা। তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম না করলেও "আমার দল, আমাদের নেত্রী" বলে অতীতের কথা তুলে ধরেছেন শুভেন্দু।
জনসংযোগের মাধ্যম হিসাবে বিজয়া সম্মেলনীকেই বেছে নিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর কথায়, "মহামারীর জন্য দেখা-সাক্ষাৎ হয়নি। কোভিড বিধি মেনে শারদ উৎসবও নিয়ন্ত্রিত হয়েছে"। এদিকে এদিন ঘাটালের সভায় টানা ঘাটাল ও আশপাশের রাজনৈতিক আন্দোলনের স্মৃতিচারণা করেন নন্দীগ্রামের বিধায়ক। বিজয়া সম্মেলনীতে তাঁর বক্তব্যে উঠে এল "আমার দল, আমাদের নেত্রী"-র কথা।
এদিন অতীত স্মরণ করতে গিয়ে শুভেন্দু বলেন, "ছাত্র রাজনীতির সময় ঘাটালে এসেছি। সবাইকে নিয়ে সংঘটিত করেছি। ৯৫ -এ কাউন্সিলর হওয়ার পরে এসেছি। তারপরও বহুবার রাজনৈতিক কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছি। ২০১০ সালে পুরসভা নির্বাচন শুরুর সময় আমার দল ঘাটাল, ক্ষীরপাই, চন্দ্রকোনাসহ অনেকগুলি পুরসভা নির্বাচনে আমাকে দায়িত্ব দিয়েছিল।" কীভাবে তিনি লড়াই করেছিলেন তাঁর বর্ণনাও দেন। তিনি বলেন, "তখন নির্বাচনেই কেউ লড়তে চাননি। গলি গলি পাড়ায় পাড়ায় হাত জোর করে ঘুরেছি। আমি সেসব দিনের কথা ভুলে যায়নি।"
দলের কথা বলেই থামেননি পরিবহণমন্ত্রী। শুভেন্দু বলেন, "২০১১ সালে আমাদের নেত্রীর নেতৃত্বে দ্বিতীয় স্বাধীনতা লড়াই হয়েছিল। সেই লড়াইতে ঘাটালে আমাদের প্রার্থীকে লক্ষ্ণনপুরে নির্বাচনের আগে হাত ভেঙে ফেলে দিয়েছিল। খবর শুনেই বাড়ি থেকে চলে আসি। তাঁকে সুস্থ করার জন্য উদ্যোগ নিয়েছিলাম। কলকাতায় নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। ফের হাতে প্লাস্টার করে নির্বাচনের লড়াইতে অবতীর্ণ হয়েছিলেন আমাদের প্রার্থী। সেদিনের লড়াইতে আপনাদের দেখেছি। দীর্ঘ দিনের লড়াইয়ের সঙ্গী এখানে পেয়েছি।"
তবে এরই মাঝে প্রতিপক্ষদের কটাক্ষ করতেও ছাড়েননি শুভেন্দু অধিকারী। নিজের দলের অনেকেই তাঁকে নানা ভাবে আক্রমণ করে চলেছে। তিনি বলেন, "একটা সরকার বলতো না ২৩৫? ৩০-এর কথা শুনবো না। বন্ধ করেছে কে? সেই মেদিনীপুর - নন্দীগ্রাম। আপনাদের শুভেন্দু ছাত্রাবস্তায় ছিল, আজকে আছে, ভবিষ্যতেও আপনাদের সঙ্গে থাকবে। চরৈবতি চরৈবতি মন্ত্রে আমরা এগোব, অন্যরা দেখবে, আর কাঁদবে। ট্রাকগুলিতে দেখবেন পিছনে লেখা থাকে, দেখবি আর জ্বলবি, লুচির মত ফুলবি।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন