দিল্লীর কৃষক আন্দোলনের ঢেউ এবার আছড়ে পড়তে চলেছে কলকাতায়। ইতিমধ্যে আন্দোলনকারী নেতৃত্বের সঙ্গে ফোনে কথা বলেছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কৃষি বিলের বিরুদ্ধে আন্দোলনে তিনি যে পাশে রয়েছেন তা জানিয়ে দিয়েছেন। এর আগে কেন্দ্রীয় কৃষি বল নিয়ে একাধিক আন্দোলন-কর্মসূচি পালন করেছে তৃণমূল। এবার কলকাতায় টানা তিন দিন অব্স্থান-সমাবেশ আয়োজন করতে চলেছে দলের কিষাণ ও ক্ষেতমজুর সংগঠন।
কলকাতায় অবস্থান-বিক্ষোভ করার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূল কংগ্রেস কিষাণ ও ক্ষেতমজুর সমিতির সভাপতি বিধায়ক বেচারাম মান্নাকে। ৮, ৯ ও ১০ ডিসেম্বর গান্ধী মূর্তির পাদদেশে তিন দিনের জন্য অবস্থান-বিক্ষোভ করবে দলের এই শাখা সংগঠন। ১০ ডিসেম্বর সমাবেশের শেষদিন বক্তৃতা দেবেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এছাড়াও একাধিক কর্মসূচি এদিন ঘোষণা করা হয়েছ।
এদিন রাজ্যব্যাপী এক গুচ্ছ কর্মসূচি ঘোষণা করেছেন তৃণমূল নেত্রী। ১১ ডিসেম্বর থেকে ২১ ডিসেম্বর পর্যন্ত বঙ্গ ধ্বনি পদযাত্রা করবে দল। রাজ্যের ৪২ হাজার ৬০০ গ্রামে পৌঁছবেন তৃণমূল নেতৃত্ব ও বিধায়করা। মোট ২.৫ লক্ষ কিলোমিটার হাঁটবেন। রাজ্যের উন্নয়নের চিত্র তুলে ধরা হবে এই কর্মসূচির মাধ্যমে। সরকারি প্রকল্প ও কাজের প্রচার করা হবে। কারও কোনও অভিযোগ থাকলে তা শুনবেন বিধায়ক ও কাউন্সিলররা। এটাই বঙ্গের ধ্বনি।
এদিকে ৭ ডিসেম্বর মেদিনীপুরের জনসভা থেকে রাজনৈতিক কর্মসূচির সূচনা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দক্ষিণবঙ্গ ও উত্তরবঙ্গ মিলিয়ে বেশ কয়েকটি রাজনৈতিক জনসভা করবেন তৃণমূল নেত্রী। এরপর জনসভা করবেন ৮ ডিসেম্বর রাণিগঞ্জ, ৯ ডিসেম্বর বনগাঁ, ১৫ ডিসেম্বর জলপাইগুড়ি, আলিপুরদুয়ার বা পার্শ্ববর্তী এলাকায়, ১৬ ডিসেম্বর কোচবিহার। প্রতিবছরের মতো এবারও ৬ ডিসেম্বর ব্লকে ব্লকে সংহতি দিবস পালন করবে তৃণমূল। ৮ ডিসেম্বর জেলা সদরে কৃষক-শ্রমিক বিক্ষোভ কর্মসূচির কথা ঘোষণা করেছেন তৃণমূল নেত্রী।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন