শেষমেষ পঞ্চায়েত র্নিবাচন নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ে স্বস্তি বাড়ল তৃণমূল কংগ্রেসের। বিরোধীরা বারে বারে অভিযোগ করেছিল রাজ্য়ে পঞ্চায়েতের প্রায় ২০ হাজার আসনে বিনাপ্রতিদ্বন্দ্বীতায় জয় পেয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। গায়ের জোর ভয় দেখিয়ে প্রার্থী দিতে দেওয়া হয়নি। বিরোধীদের আবেদন সর্বোচ্চ আদালত বাতিল করে দেওয়ায় এদিন থেকেই বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া শুরু করে দিতে চলেছে রাজ্য় সরকার। বিজেপি যদিও এই রায়কে তাদের আদালতও বঞ্চিত করেছে বলে আখ্য়া দিয়েছে।
পঞ্চায়েতমন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্য়ায় বলেন, “এটা রায় নয়, বিরোধীদের অভিযোগ আদালতে বাতিল হয়ে গেল। এটার ঐতিহাসিক মূল্য়ায়ন করতে হয়। বিজেপির উচিত রাজ্য়ের জণগনের কাছে ক্ষমা চাওয়া। এই ইস্য়ুতে যে ভাবে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি, দলের সর্বভারতীয় সভাপতি আক্রমন করেছেন। তা মনে রাখা উচিত বিজেপির।’’
গ্রামীণ উন্নয়ন নিয়ে বৃহস্পতিবার নবান্নে বৈঠক করেছেন মুখ্য়মন্ত্রী মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। পঞ্চায়েতে বোর্ড গঠন না হলেও উন্নয়নে কোনও বাধা না হয়, তার জন্য় তিনি নির্দেশ দিয়েছেন। এদিন আদালতের রায়ের পর বোর্ড গঠনে আর কোনও বাধা থাকল না। পঞ্চায়েতমন্ত্রী বলেন, “আজ থেকেই বোর্ড গঠন প্রক্রিয়া শুরু করে দেব। বেশি দিন অসুবিধায় ফলতে পারেনি। সর্বোচ্চ এক সপ্তাহ পিছিয়ে দিয়েছে।’’ আমাদের তাতে অসুবিধা হবে না। তাঁর মতে, “একমাত্র মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় বলেছেন আমরা এগুলোতেও জিতবো। এবং আগামী দিনে লোকসভা নির্বাচনে ৪২ -এ ৪২ পাব।’’
এদিনের আদালতের রায়ের ফলে বিপাকে পড়েছে বিজেপিসহ বিরোধীরা। যদিও রাজনৈতিক ময়দানে লড়াইয়ে এক ইঞ্চিও মাটি ছাড়বে না বলে জানিয়ে দিয়েছে বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। আদালত তাদের বঞ্চিত করেছে বলেও দাবি করেছেন দিলীপবাবু। জণগনের কাছে ক্ষমা চাইতে বলেছে তৃণমূল। কী বলবেন? বিজেপি সভাপতির জবাব, “জণগনকে যারা নির্বাচন থেকে বঞ্চিত করে। নির্বাচনে লড়তে দেয় না। ভোট দিতে দেয় না। তার কী একথা বলতে পারে! জণগনের বক্তব্য় নিয়ে আমরা আদালতে গিয়েছিলাম। যখন সরকার বা নির্বাচন কমিশন আমাদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করেছে তখন একটাই জায়গা থাকে সেটা হল আদালত। আদালতে গিয়েছিলাম মানুষের অধিকারের কথা বলতে। যে হিংসা হয়েছে, মারা গিয়েছে, সেই কথাই বলেছিলাম আদালতে।’’ তবে তাঁর দাবি ২০১৯ লোকসভা ভোটে বাংলার মানুষ পঞ্চায়েতে হিংসার জবাব দেবে। তিনি বলেন,
“রাজনৈতিক অধিকার পায়নি বলে আদালতে গিয়েছিলাম। রাজনৈতিক অধিকার সুরক্ষিত করার জন্য়। কিন্তু আদালতও বঞ্চিত করেছে আমাদের। রাজনৈতিক লড়াইতো আদালতে হবে না। বাংলার মানুষ ক্ষুব্ধ, বঞ্চিত ১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে এর জবাব দেবেন।’’