/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2022/01/up-poll-2022-mamata-support-akhilesh.jpg)
ফের উত্তর প্রদেশে যাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যয়।
উত্তর প্রদেশের নির্বাচনে অখিলেশ যাদবরা ভালো ফল করবেন বলে আশাবাদী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সমাজবাদী পার্টির হয়ে প্রচারে আগামী ৩ মার্চ ফের একবার উত্তর প্রদেশে যাচ্ছেন তৃণমূলত্রী। বারাণসীতে সপা-র প্রচারে থাকবেন তৃণমূল সুপ্রিমো। অখিলেশ যাদবের হাত ধরেই উত্তর প্রদেশে বিজেপি পরাস্ত হবে বলে আশাবাদী মমতা। উত্তর প্রদেশের চলতি বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী না দিলেও আগামী লোকসভা ভোটে উত্তর প্রদেশে লড়বে তৃণমূল। এব্যাপারে অখিলেশ যাদবের সঙ্গে মমতা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের প্রাথমিক কথাবার্তাও হয়ে গিয়েছে। এদিন বেসরকারি একটি টিভি চ্যানেলকে এমমনই জানিয়েছেন তৃণমূল সুপ্রিমো।
লক্ষ্য ২০২৪। আগামী লোকসভা ভোটে বিজেপিকে সরাতে আঞ্চলিক দলগুলিকে আরও শক্তিশালী হওয়ার বার্তা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। গো বলয়ের সবচেয়ে বড় রাজ্য উত্তর প্রদেশ। বিধানসভায় প্রার্থী না দিলে ২৪-এর লোকসভা ভোটে উত্তর প্রদেশের কয়েকটি আসনে প্রার্থী দেবে তৃণমূল। এদিমন এমনই জানিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। একটি বেসরকারি টিভি চ্যানেলকে টেলিফোনে তিনি বলেন, ''২০২৪-এ বিজেপিকে হারাতে গেলে উত্তর প্রদেশ একটি বড় বিষয় হবে। অখিলেশের পাশে আছি। তবে লোকসভা নির্বাচনে কয়েকটা আসনে আমরা লড়ব। এটা অখিলেশকে বলেছি।''
আরও পড়ুন- ‘মা, মাটি, মানুষের অপ্রতিরোধ্য জয়’, পুরনিগমের ভোটের সাফল্যে উচ্ছ্বসিত মমতা
ভোট কাটাকাটি রুখতেই চলতি উত্তর প্রদেশ বিধানসভা নির্বাচনে প্রার্থী দেয়নি তৃণমূল। এদিন সেপ্রসঙ্গে মমতা বলেন, ''এই ভোটে আমি একটা সিটেও প্রার্থী দিইনি। কারণ আমি চাই না কোনও জায়গায় অখিলেশ দুর্বল হোক। ওখানে মুখোমুখি লড়াই হোক। তবে শেষ যে দফার ভোট হল তার ৫৭ টার মধ্যে ৩৭টা অখিলেশরা পাবে বলে মনে হয়। আমি আবার উত্তর প্রদেশে যাব। ৩ মার্চ বারণসীতে সভা করব।''
অন্যদিকে, গোয়াতেও চলছে বিধানসভা ভোট। সমুদ্র রাজ্যে এবারের ভোট লড়ছে তৃণমূল। গোয়ায় তৃণমূল ভালো ফল করবে বলে আশাবাদী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি বলেন, ''গোয়ায় তিন মাস হল কাজ শুরু করেছে তৃণমূল। এত অল্প সময়েও অভিষেক, মহুয়া, ডেরেকরা পড়ে থেকে কাজ করেছে। গোয়ায় কেনা-বেচা হয়। আগের বারে কংগ্রেস সরকার গড়তে পারেনি। সবাই পালিয়ে গিয়েছিল। তা সত্ত্বেও আমি মনে করি, আমাদের টিম ভালো কাজ করেছে। গোয়ায় তৃণমূলের নামটা ঘরে ঘরে পৌঁছে গিয়েছে। এবার হয়তো শুরুটা হবে। আমাদের ভালো ফল হবে।''