scorecardresearch

৪১ শতাংশ মহিলা প্রার্থী ঘোষণা করেও তৃণমূলের ধর্নায় নেই কর্মীদের ভিড়

শুক্রবার দুপুরে ধর্না-অবস্থানে গিয়ে দেখা গেল, মঞ্চের সামনের অধিকাংশ চেয়ারই ফাঁকা। সাধারণত কলকাতায় কোনও শাসকদলের সভামঞ্চে এমন হাল দেখা যায় না।

tmc, mamata banerjee,
শুক্রবার রানী রাসমনি রোডে মহিলা তৃণমূল কংগ্রেসের ধরনা অবস্থানে দুপুর একটার দৃশ্য়। ছবি- শশী ঘোষ

লোকসভা নির্বাচন ঘোষণা হয়ে গিয়েছে। ৪১ শতাংশ মহিলা প্রার্থীর নাম ঘোষণা করা হয়েছে। ৮ মার্চ নারী দিবসে তৃণমূল কংগ্রেস লোকসভা নির্বাচনের প্রচারও শুরু করেছে তৃণমূল কংগ্রেস। পশ্চিমবঙ্গর সব বুথকে অতি স্পর্শকাতর ঘোষণার দাবি জানিয়েছে বিজেপি। এই ইস্যুতে তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা শাখার ধর্না কার্যত ‘ফ্লপ-শো’-তে পরিণত হয়েছে শুক্রবার। ধর্মতলার রানী রাসমনি রোডে এই ধর্না-অবস্থানে মহিলা নেতৃত্ব মঞ্চে হাজির থাকলেও মহিলা-কর্মী সমর্থকের হাজিরা ছিল অত্যন্ত কম। রানী রাসমনি রোডে শাসকদলের কোনও সভা বা অবস্থানে এত কম সংখ্যক কর্মী-সমর্থকের হাজিরা ইদানিং দেখা যায়নি।

বিজেপি এ রাজ্যে সমস্ত বুথকে অতিস্পর্শকাতর হিসাবে ঘোষণা করার দাবি জানিয়েছে নির্বাচন কমিশনকে। তৃণমূনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দাবি করেছেন অতিস্পর্শকাতর ঘোষণার দাবি করে বিজেপি বাংলাকে অপমান করেছে। এর প্রতিবাদে রাজ্য তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা শাখা শুক্রবার থেকে দুদিন ধর্মতলার রানী রাসমনি রোডে ধর্না-অবস্থানে বসেছে। দুদিনই সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত এই ধর্না চলবে বলে জানানো হয়েছে।

আরও পড়ুন, মুকুলের মাস্টারস্ট্রোক, বিজেপির রথে অর্জুন

শুক্রবার দুপুরে ধর্না-অবস্থানে গিয়ে দেখা গেল, মঞ্চের সামনের অধিকাংশ চেয়ারই ফাঁকা। সাধারণত কলকাতায় কোনও শাসকদলের সভামঞ্চে এমন হাল দেখা যায় না। দেখা যায়, মন্ত্রী ও নেত্রীদের ভিড় মঞ্চের ঠিক ওপরে। সেখানেই চলছে স্লোগান। মাঝে-মধ্য়েই শোনা যাচ্ছে প্রতিবাদী গান। এই ধর্নায় হাজির ছিলেন দলের মহিলা শাখার রাজ্য় সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, মন্ত্রী শশী পাঁজা-সহ তৃণমূলের অন্যান্য নেত্রীরা। এবার তৃণমূল ৪২-এ-৪২ পাবে বলে দাবি করেছেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। রাজ্য অতিস্পর্শকাতর বলে বিজেপি বাংলাকে অপমান করেছে, এর প্রতিবাদেই ধর্না বলে তিনি জানিয়েছেন।

দুদিন আগেই লোকসভা নির্বাচনে ৪২ জন প্রার্থীর নাম ঘোষণা করেছেন তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায়। সেই প্রার্থী তালিকায় ৪১ শতাংশ মহিলা প্রার্থী দেওয়া হয়েছে বলে জানিয়েছেন দলনেত্রী। আথচ এরপরই ধর্মতলায় দলের মহিলা শাখার ধর্নার এই হাল কপালে চিন্তার ভাঁজ ফেলছে। সামনেই নির্বাচন, এর আগে মহিলা কর্মী-সমর্থকদের এই অনীহা কী বার্তা দিচ্ছে? নেত্রীরা হাজির হলেও দলের সধারণ মহিলা কর্মীরা সেভাবে হাজির হননি ধর্মতলার ধর্নায়।

আরও পড়ুন, বাংলায় মিডিয়া পর্যবেক্ষকের দাবি বিজেপির, প্রতিবাদ মমতার

অন্যদিকে ধর্মতলায় গান্ধী মূর্তির পাদদেশে বিজেপির আইপিএস সেলও ধর্নায় বসেছে। রাজ্য়ে গণতন্ত্র ফেরাতে এই অবস্থান ধর্নায় বসেছেন তাঁরা। যদিও কলেবরে এই সংগঠনের সদস্য সংখ্য়া অত্যন্ত সীমিত। সেক্ষেত্রে এই ধর্নায় গুটি কয়েক চেয়ার ছিল। তবে বিজেপির রাজ্য নেতৃত্ব এই ধর্নায় হাজির হয়ে, কর্মসূচিটির গুরুত্ব বাড়িয়ে দিতে সচেষ্ট ছিলেন। বিজেপি দাবি করেছিল ১২৬ জন প্রাক্তন আইপিএস আধিকারিক সেখানে হাজির থাকবেন। কার্যত জনাকয়েক প্রাক্তন আইপিএস হাজির ছিলেন। এই ধর্না অবস্থানে গিয়েছিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ, রাজ্যের সাধারন সম্পাদক সায়ন্তন বসু।

Stay updated with the latest news headlines and all the latest Politics news download Indian Express Bengali App.

Web Title: Tmc women cell