‘অর্থনৈতিক মন্দা’কে হাতিয়ার করে নারী দিবসে মোদী সরকার বিরোধীতায় পথে নামল মহিলা তৃণমূল কংগ্রেস। ফাঁকা হাঁড়ি হাতে মহানগরের পথে মিছিল করলেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য, শশী পাঁজা, স্মিতা বক্সীরা। শাসক দলের মহিলা শাখার তরফে এদিন শ্রদ্ধানন্দ পার্ক থেকে ডোরিনা ক্রসিং পর্যন্ত মিছিল হয়।
আরও পড়ুন: চার আসনে তৃণমূলের রাজ্যসভার প্রার্থী ঘোষণা
মহিলা তৃণমূলের সভানেত্রী তথা রাজ্যের স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, ‘মুখ্যমন্ত্রী যখন রাজ্যের উন্নয়ন, কর্মসংস্থানে উদ্যোগী তখন বিজেপি তা ধ্বংস করতে মরিয়া। ধর্মের ভিত্তিতে সিএএ, এনআরসি ও এনপিআর লাগু করা হচ্ছে। মানুষে মানুষে ভেদাভেদের রাজনীতি চলছে। কিন্তু, বেরারত্ব কমানো, কর্মসংস্থান, দেশের আর্থিক উন্নয়নে কোনও নজর নেই মোদী সরকারের। তাই ভাতের দাবিতে হাঁড়ি হাতে এই মিছিল।’
বিভিন্ন ইস্যুতে কেন্দ্র বিরোধী আন্দোলনে সাম্প্রতিককালে একাধিকবার পথে নেমে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্য়ায়। কলকাতা থেকে বিভিন্ন জেলায় সিএএ-এনআরসি বিরোধী মিছিলে হেঁটেছেন তিনি। সেই রেশ বজায় রেখে হাঁড়ি মাথায় মিছিল থেকেও এদিন বিজেপি সরকারের সিএএ, প্রস্তাবিত এনআরসি, এনপিআর বাতিলের দাবি তোলা হয়।
আরও পড়ুন: পুরভোটে ‘বাহিনী’ ইস্যুতে জোটবদ্ধ বিরোধী শিবির
আগামী এক মাসের মধ্যেই রাজ্যব্যাপী শতাধিক পুরসভায় ভোট হবে। লোকসভায় এ রাজ্যে শক্তি বাড়িয়েছে বিজেপি। একাধিক পুরসবার বিভিন্ন ওয়ার্ডে এগিয়ে বিজেপি। ২০১৯ লোকসভার ফলাফলের নিরিখে খোদ কলকাতার প্রায় ৫০ পুরসভা আসনে পিছিয়ে তৃণমূল। ড্য়ামেজ কন্ট্রোলে তাই মরিয়া জোড়া-ফুল শিবির। ইতিমধ্যেই পিকের দাওয়াইয়ে 'দিদিকে বলো' কর্মসূচি পালন করা হয়েছে। পুরভোট ও ২১শের বিধানসভা ভোটকে মাথায় রেখে আনা হয়েছে 'বাংলার গর্ব মমতা' প্রচার কর্মসূচি। জোর দেওয়া হচ্ছে জনসংযোগে। এতেই বাংলার মানুষের হারানো আস্থা ফের ফিরে পাওয়া সম্ভব বলে মনে করছেন তৃণমূল নেতৃত্ব।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন