এবছর দুর্গা পুজো অনেকটাই পিছিয়ে গিয়েছে। করোনা পরিস্থিতিতে পুজোর সেই আবহও নেই। কার্তিক মাসে পুজোর আগেই আশ্বিনে বরণডালা নিয়ে পথে নামলেন তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা সদস্য়রা। প্রতিবাদ জানালেন মোদী সরকরারে কৃষি বিলের।
কলকাতার পথেই কৃষক রমণীদের বরণডালা নিয়ে বরণ করা হল। তাতে সামিল হলেন রাজ্যের দুই মন্ত্রী শশী পাঁজা, চন্দ্রিমা ভট্টাচার্যসহ অন্য় নেতৃত্ব। তারপর মাতলেন সিঁদুর খেলাতেও। মঙ্গলবার গান্ধী মূর্তির পাদদেশে এভাবে মোদী সরকারের বিদায় যাত্রা পালন করল তৃণমূল কংগ্রেসের মহিলা শাখা। দিনভর অবস্থানে মোদী সরকারের কষি বিলের তীব্র প্রতিবাদ করা হয়।
কেন্দ্রীয় সরকারের কৃষি বিলের প্রতিবাদে তৃণমূল কংগ্রেসের সাংসদরা ধরনায় সামিল হয়েছিলেন দিল্লিতে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে। কলকাতায় তৃণমূলের মহিলা শাখা মঙ্গলবার অবস্থান বিক্ষোভ করল মেয়ো রোডে গান্ধী মূর্তির পাদদেশে। সংগঠনের সভানেত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য বলেন, "কেন্দ্রীয় সরকারের জনবিরোধী নীতির ফলে নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যের ওপর নিয়ন্ত্রণ উঠে গেল। সারা বাংলা এই নীতির বিরুদ্ধে। এই আইনে কৃষকদের কোনও লাভ হবে না। কিছু শিল্পপতি ও বিজেপির লাভ হবে। সাধারণ মানুষ বঞ্চিত হবে। কৃষকদের জন্য নেত্রী মমতা বন্দ্যেপাধ্যায় সিঙ্গুর, নন্দীগ্রামে জমি আন্দোলন করেছেন।"
এদিন অভিনব প্রতিবাদ করে তৃণমূলের মহিলা সদস্যরা। কারও হাতে থালা-বাটি তো কারও হাতে বরণডালা। মহিলাদের হাতে ছিল থার্মোকলের থালায় লেখা কৃষি বিল ও মোদী সরকারের বিরোধিতা করে নানা শ্লোগান। বাজান হল স্টিলের থালা। বরণডালায় কলা, সিঁদুর, আলতা, ঘটসহ নানা সামগ্রীও ছিল। একেবারে দুর্গা পুজোর আদলে কৃষক রমণীদের বরণ করা হয়। যথারীতি তারপর সিঁদুর খেলাও চলে। তৃণমূলের মহিলা শাখা মনে করে অশুভ শক্তি মোদী সরকারকে বিনাশ করে ভাসান দেবে সাধারণ মানুষ।
আরও পড়ুন- “অনুব্রত মণ্ডলের কলার ধরে টাকা আদায় করব”, হুমকি তৃণমূল নেতার
কৃষি বিল নিয়ে প্রথম থেকে বিরোধিতা করছে তৃণমূল কংগ্রেস। সোমবার তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সুড় চড়িয়েছেন। আগামী কাল পথে নামবে তৃণমূল ছাত্র পরিষদ। তারপর দলের ক্ষেতমজুর ও কিষাণ সংগঠনও আন্দোলনে সামিল হবে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন