বাংলায় রাজনৈতিক হিংসা যেন থামছেই না। একুশে জুলাইয়ের সমাবেশে যোগ দেওয়ায় তৃণমূল কর্মীকে পিটিয়ে খুনের অভিযোগ উঠল বিজেপির বিরুদ্ধে। ঘটনাটি ঘটেছে হুগলির গোঘাটে। তৃণমূল কর্মীর বাড়িতে বোমাবাজিরও অভিযোগ উঠেছে বিজেপির বিরুদ্ধে। যদিও এ অভিযোগ অস্বীকার করেছে গেরুয়াবাহিনী। তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জন্য খুন বলে পাল্টা দাবি করেছে বিজেপি।
আরও পড়ুন: ‘মমতার দলটাই উঠে যাবে’
ঠিক কী অভিযোগ?
হুগলির গোঘাটের নকুন্ডা গ্রামে তৃণমূল কর্মী লালচাঁদ বাগকে পিটিয়ে খুন করা হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। গত ২১ জুলাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভায় গিয়েছিলেন লালচাঁদ ও তাঁর ৩ ভাই। সভা থেকে ফেরার পরই সে রাতে তাঁদের বাড়ি লক্ষ্য করে বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা বোমা ছোড়ে বলে অভিযোগ করেছেন পরিবারের সদস্যরা। সোমবার রাতে সাইকেলে চেপে বাড়ি ফেরার পথে লালচাঁদের উপর চড়াও হন কয়েকজন। লাঠি ও বাঁশ দিয়ে লালচাঁদকে বেধড়ক মারধর করে দুষ্কৃতীরা। মারধরের পর রাস্তায় লালচাঁদকে ফেলে চম্পট দেয় তারা। পরে স্থানীয়রা লালচাঁদকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যান। সেখানেই তাঁকে মৃত বলে ঘোষণা করেন চিকিৎসকরা। লালচাঁদের স্ত্রীর অভিযোগ, ‘‘২১ জুলাইয়ের সভায় গিয়েছিল বলেই বিজেপির লোকেরা খুন করেছে’’। অভিযুক্তরা আগে সিপিএম করত বলে দাবি করেছেন নিহতের স্ত্রী।
এলাকায় মোতায়েন পুলিশ। ছবি: উত্তম দত্ত।
আরও পড়ুন: ‘প্রসেনজিৎ-ঋতুপর্ণাদের ডেকে বলছে বিজেপি নেতাদের সঙ্গে যোগযোগ করো’
এ ঘটনা প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূল সভাপতি দিলীপ যাদব ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বলেন, ‘‘আমাদের কর্মী লালচাঁদ বাগকে খুন করেছে বিজেপির গুন্ডারা। আগে ওরা সিপিএম করত। গতকাল লালচাঁদকে মেরে রাস্তায় ফেলে দেয়। পরে হাসপাতালবে নিয়ে গেলে চিকিৎসকরা মৃত বলে ঘোষণা করেন। দোষীদের উপযুক্ত শাস্তি দেওয়া হোক, প্রশাসনের কাছে এটাই আমাদের আর্জি’’।
অন্যদিকে, তৃণমূলের অভিযোগ অস্বীকার করে বিজেপি জেলা সভাপতি সুবীর নাগ বলেন, ‘‘বিজেপি খুনের রাজনীতিতে বিশ্বাস করে না। যেখানেই খুন হচ্ছে তৃণমূল প্রমাণ করত চাইছে বিজেপি যুক্ত। এটা চক্রান্ত। তদন্ত হলে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের বিষয়টি আসবে। ২১ জুলাই গেছে ক’জন, যে খুন করতে হবে! আমার জেলা থেকে ৪০টি বাসও যায়নি। সর্বৈব মিথ্যা অভিযোগ’’। উল্লেখ্য, এবার লোকসভা নির্বাচনে হুগলিতে তৃণমূলকে হারিয়ে জয়ী হয়েছেন বিজেপির লকেট চট্টোপাধ্যায়। লোকসভা নির্বাচনের সময়ও অশান্তি ছড়িয়েছিল হুগলি লোকসভা কেন্দ্রে।