/indian-express-bangla/media/post_attachments/wp-content/uploads/2019/06/crime-scene-759.jpg)
দক্ষিণ কলকাতার স্কুলে উদ্ধার ছাত্রীর দেহ। প্রতীকী ছবি।
বাংলায় রাজনৈতিক হিংসা অব্যাহত। সন্দেশখালির ঘটনার রেশ কাটতে না কাটতেই, এবার মুর্শিদাবাদের ডোমকলে তিন তৃণমূল কর্মীকে খুনের অভিযোগ উঠল। ভোররাত থেকে ডোমকলের কুচিয়ামারা গ্রামে বোমাবাজি, গুলি চলে। গুলিবিদ্ধ হয়ে জখম হয়েছেন আরও এক। ওই ব্যক্তি মুর্শিদাবাদ মেডিক্যালে চিকিৎসাধীন বলে খবর। এ ঘটনায় কংগ্রেস ও বিজেপির দিকে আঙুল তুলেছে তৃণমূল নেতৃত্ব। যদিও সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে কংগ্রেস ও বিজেপি।
সূত্র মারফৎ জানা গিয়েছে, এ ঘটনার সূত্রপাত লোকসভা নির্বাচনের আগে থেকে। লোকসভা ভোটের আগে ওই গ্রামের প্রাক্তন পঞ্চায়েত প্রধান আলতাফ শেখ সিপিএম ছেড়ে তৃণমূলে যোগ দেন। চলতি বছরের ১৮ মার্চ খুন হন আলতাফ। তৃণমূল কর্মী আলতাফকে খুন করেছে কংগ্রেস ও বিজেপি সমর্থকরা, এণন অভিযোগই করেছেন পরিবারের সদস্যরা। খুনের মামলায় ক’দিন আগেই জামিন পায় অভিযুক্তরা। জামিনে ছাড়া পাওয়ার পরই আলতাফের বাড়িতে তারা হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। এদিনের হামলায় আলতাফের ভাই খাইরুদ্দিন, ছেলে সোহেল ও এক আত্মীয় রহিদুল খুন হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে।
আরও পড়ুন: ‘অভিশপ্ত’ জামাইষষ্ঠী, সন্দেশখালি জুড়ে হাহাকার
এ ঘটনার পিছনে বিরোধীদের হাত রয়েছে বলে দাবি করেছেন তৃণমূল নেতা আবু তাহের। নিহতরা তৃণমূল কর্মী বলে দাবি করেছেন তাহের। অভিযুক্তদের অবিলম্বে গ্রেফতারের দাবি জানানো হয়েছে। অন্যদিকে, সব অভিযোগ অস্বীকার করেছে কংগ্রেস ও বিজেপি নেতৃত্ব। কংগ্রেসের তরফে দাবি করা হয়েছে, তারা এ ঘটনায় জড়িত নয়। ঘটনায় পুলিশ নিরেপক্ষ তদন্ত করুক, এই দাবিই করেছে কংগ্রেস। এ ঘটনার পরই গোটা এলাকা ঘিরে রেখেছে পুলিশ। গ্রামে চলছে পুলিশি টহলদারি।