সম্প্রতি কর্নাটক বিধানসভা নির্বাচনে সংখ্য়াগরিষ্ঠতা না পেলেও সরকার গঠনের ডাক পেয়েছিল বিজেপি। সেই সময় ঘোড়া কেনা-বেচার চেষ্টা করা হয়েছিল বলে বিরোধীদের অভিযোগ। নাটকীয় ভাবে মুখ্য়মন্ত্রী পদে শপথ নিলেও আস্থা ভোটের কিছু সময় আগে পদত্য়াগ করেন মুখ্য়মন্ত্রী ইয়েদুরাপ্পা। মূলত ওই প্রেক্ষিতেই এদিন বিজেপিকে আক্রমন করলেন অভিষেক। তাঁর আরও বক্তব্য়, রাজ্য়ে ৪২ টি আসনের ৪২ টিই নিশ্চিৎ করতে হবে।
অভিষেকের ভাষণে উঠে আসে সারদা প্রসঙ্গও। তিনি বলেন, সারদা-কাণ্ডে যারা “গলা ফাটিয়েছিল”, তারা আজ টুঁ-শব্দ করছে না। বিজয় মালিয়া, নীরব মোদিদের নিয়ে বিজেপির সিদ্ধান্ত নিয়ে মানুষের মনে প্রশ্ন রয়েছে। তাঁর বক্তব্য়, “পেট্রল-ডিজেলের দাম না কমানো হলে লড়াই চলবে। এই অনাচারের বিরুদ্ধে আমাদের প্রতিবাদ চলেব। আগামী দিনে সারা রাজ্য় জুড়ে প্রতিবাদ হবে।”
পেট্রপণ্য়ের মূল্য়বৃদ্ধির আঁচে যে পুড়ছে গৃহস্থ, শুক্রবার তৃণমূল কংগ্রেসের মিছিলের ভিড় তা প্রমান করল। সুবোধ মল্লিক স্কোয়্য়ার থেকে শুরু করে মিছিল শেষ হয় পার্ক স্ট্রিটে। মিছিলে পা মেলান অভিষেক, সুব্রত বক্সী, মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্য়ায়, শোভনদেব চট্টোপাধ্য়ায়সহ তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নের্তৃত্ব। কর্নাটকে কুমারস্বামীর শপথ গ্রহণ অনুষ্ঠানে বিজেপি বিরোধী নেতৃত্ব একযোগে এই প্রতিবাদ আন্দোলনের সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। মিছিলে কারও হাতে নকল গ্য়াস সিলিন্ডার, কারও হাতে পেট্রল পাম্পের নকল পাইপ। তাছাড়া নানা ধরনের প্লাকার্ড ছিল।
দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্য়ায় বলেন, “যখনই সমস্য়া হয়েছে, মমতা বন্দ্য়োপাধ্য়ায় মানুষের পাশে থেকেছেন। বিজেপির আচ্ছা দিন কী পেয়েছেন। আচ্ছা নয়, কালা দিন। বিজেপি যতদিন থাকবে ততদিন কালা দিনও থাকবে। অন্য় রাজ্য়ে দাম কমলেও এখানে কমছে না। রাস্তায় নামা ছাড়া উপায় ছিল না।”