এবার থেকে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের নেতৃত্ব দেবেন ছাত্র-ছাত্রীরাই। আগামী সাত দিনের মধ্যে গঠিত হবে টিএমসিপির রাজ্য কমিটি। অন্য দিকে যুব কংগ্রেসের নেৃতৃত্ব দেবেন যুবরাই। তৃণমূল ভবনে এদিন সাংবাদিক বৈঠকে একথা বলেন দলের মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়। এদিন তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্ব দলের ছাত্র নেতৃত্বের সঙ্গে তিন ঘণ্টা বৈঠক করেন ছাত্র সংগঠনের উপদেষ্টা কমিটির চেয়ারম্যান পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও কো-চেয়ারম্যান অভিষেক বন্দোপাধ্যায়। ছাত্রদের কী করা উচিত আর কী করা উচিত নয় সে বিষয়ে উপদেশ দিয়েছেন একসময়ের ছাত্র নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায়।
কলেজে কলেজে তোলাবাজির অভিযোগের ঘা যে এখনও শুকোয়নি তা এদিন তৃণমূল ছাত্র পরিষদের বৈঠকে প্রবীণ নেতা ও দলের মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের বক্তব্যে অনেকটা পরিষ্কার। সূত্রের খবর, এদিন ছাত্রদের পরামর্শ দেওয়ার সময় তিনি বলেন, টাকা নিয়ে নয় ফুল নিয়ে নতুনদের অভ্যর্থনা জানাতে হবে। অন্য দিকে বৈঠকে পার্থ চট্টোপাধ্যায় জেলা সভাপতি, ছাত্র সংসদের সাধারণ সম্পাদক ও ইউনিট প্রেসিডেন্টদের একে একে জানতে চান কারা কারা পাস-আউট। যাঁরা পাস-আউট তাঁরা দাঁড়িয়ে উঠে সে কথা জানান দেন। জানা গিয়েছে, বৈঠকে তিনি জানিয়ে দেন এখনও পর্যন্ত মনোমত সভাপতি পাওয়া যায়নি। সূত্রের খবর, পাশাপাশি তিনি সেখানে জানান, উপস্থিতির জন্য ১০ নম্বর থাকে। ক্লাসে হাজিরা না থাকলে সেমিস্টার থেকে সেই নম্বর বাদ যাবে। তার জন্য আন্দোলন বা ঘেরাও করা যাবে না। বৈঠকে স্পষ্ট করে দিয়েছেন ছাত্র সংগঠন করতে হলে ছাত্র হতে হবে।
সাংবাদিক বৈঠকে মহাসচিব বলেন, তৃণমূল কংগ্রেসের প্রাথমক শিক্ষক সংগঠন পুনর্গঠন করা হল। প্রাথমিক শিক্ষক সংগঠনের সভাপতি হলেন অশোক রুদ্র। বিদায়ী সভাপতি শ্যামাপদ পাত্রকে রাজ্যের উপদেষ্টা মণ্ডলীর চেয়ারম্যান হিসাবে মনোনীত করা হল। একইসঙ্গে রাজ্য কমিটি ও জেলা কমিটি ঘোষণা করা হয়েছে।
তিনি জানান, রাজ্য ও জেলা কমিটির সদস্যরা ৭ দিনের মধ্যে পদত্যাগ করবেন। ৭ দিনের মধ্যেই কমিটি গঠন করা হবে। ছাত্র সমাজকে নতুন প্রজন্মের হাতে তুলে দিতে হবে। কলেজে বহিরাগতরা ঢুকতে পারবে না। তার জন্য কলেজ কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হবে। বছরের পর কলেজে পড়লেও তাঁরা নেতা হতে পারবে না। ছাত্র সংগঠন ছাত্রদের হাতেই থাকবে। যুব সংগঠনের ক্ষেত্রেও একই সিদ্ধান্ত নিয়েছে তৃণমূল।