শুক্রবারই নির্বাচন কমিশন ঘোষণা করেছে যে চলতি বছরে তিন দফায় আসাম বিধানসভা নির্বাচন সম্পন্ন হবে। ২৩ মার্চ, ১ এপ্রিল এবং ৬ এপ্রিল নির্বাচনের দিনক্ষণ ধার্য করা হয়েছে। আর এরপরই সেখানে নড়েচড়ে বসেছে বিজেপি শিবির। আসামে এবার ত্রিমুখী লড়াই দেখা যেতে পারে। বিজেপি এবং তার জোটসঙ্গী, কংগ্রেস এবং মহাজোট এবং অপর দুই নতুন স্থানীয় দল এবারের লড়াইয়ে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিতে চলেছে।
নির্বাচনী নির্ঘন্ট ঘোষণার সঙ্গে সঙ্গেই আসামের শিক্ষামন্ত্রী এবং উত্তর-পূর্বে বিজেপির অন্যতম হিমন্ত বিশ্ব শর্মা একটি টুইটে বলেন, "আসাম বিধানসভা নির্বাচনের দিন ঘোষণা হয়েছে। আমরা আবারও সরকার গঠনের জন্য আপনার আশীর্বাদ চাইছি। আমরা গত ৫ বছরে আসামবাসীর বিশ্বাস এবং সহযোগিতার জন্য কৃতজ্ঞ। যেখানে আসামের অসাধারণ বিকাশ ঘটেছে। প্রধানমন্ত্রী শ্রী নরেন্দ্র মোদীর নেতৃত্বে আমরা তা অব্যাহত রাখার প্রতিশ্রুতি দিয়েছি।”
নাগরিকত্ব (সংশোধন) আইন প্রথম প্রস্তাব করা হয়েছিল আসামেই। তখন রাজ্য জুড়ে শুরু হয়েছিল অশান্তির আবহ। নাগরিকপঞ্জি থেকে নাম বাদ পড়েছিল বহু মানুষের। সেই সময় আসাম জাতীয় পরিষদ (এজেপি) এবং রায়জোর দল - এই দুটি নতুন আঞ্চলিক দল সিএএ বিরোধী বিশাল বিক্ষোভের সূচনা করেছিল। সেই সময় কমপক্ষে পাঁচ জনকে গুলি করে হত্যা করেছিল নিরাপত্তা বাহিনী। এই দু'দলই আসন্ন নির্বাচনে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করবে।
২০১৬ সালের ১২৬ জন সদস্যের নির্বাচনের জয় লাভ করেছিল পদ্মশিবির। বিজয়ী বিজেপি পেয়েছিল ৬১টি আসন, বোরোল্যান্ড পিপলস ফ্রন্ট পেয়েছিল ১৩ টি আসন এবং আসাম গণ পরিষদ জিতেছিল ১৪টি আসন। এবার, বিজেপি-এজিপির সঙ্গে জোট চালিয়ে যাবে তবে বিপিএফের সঙ্গে জোট ভেঙে গিয়েছে। পরিবর্তে বোরোল্যান্ড অঞ্চলে ইউনাইটেড পিপলস পার্টির লিবারেল (ইউপিএল) এর সঙ্গে জোটবদ্ধ হয়েছে।
আসামের ক্ষেত্রে বিজেপির সামনে বড় চ্যালেঞ্জ নাগরিকত্ব সংশোধনী আইন। নাগরিকপঞ্জী নিয়ে কম জলঘোলা হয়নি সেই সময়। ২০১৯ সালে সিএএ বিরোধী ইস্যুতে উত্তাল হয়েছিল উত্তর-পূর্বের এই রাজ্য। আর এই বিষয়টি নিয়েই বিরোধী কংগ্রেস উঠেপড়ে লেগেছে। আদৌ কি আসামে ক্ষমতা টিকিয়ে রাখতে পারবে পদ্মশিবির? না কি সিএএ অস্ত্রেই কুর্সি হারাবে গেরুয়া? ফলাফল জানা যাবে ২ মে।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন