বিহারের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে তার পদত্যাগ জমা দেওয়ার পরে, নীতীশ কুমার এই পদক্ষেপের পিছনে কারণ ব্যাখ্যা করে বলেছিলেন, যে রাজ্যে এমন কিছু রাজনৈতিক পরিস্থিতি উদ্ভূত হয়েছে যার কারণে তাঁর এই সিদ্ধান্ত। পাশাপাশি ইণ্ডিয়া জোট প্রসঙ্গে তিনি বলেন, "জোটে সবকিছু ঠিক ছিল না"। জেডি(ইউ) সুপ্রিমো যোগ করেছেন তিনি "জোট কার্যকর করার চেষ্টা করেছিলেন, কিন্তু তা তিনি করতে পারেননি"।
এদিন সকালে নীতীশ কুমার বলেন, "আজ, আমি মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছি এবং আমি রাজ্যপালকে রাজ্যে সরকার ভেঙে দিতে বলেছি। এই পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে কারণ সবকিছু ঠিক ছিল না…আমি সবার কাছ থেকে মতামত নিয়েছি। আমি তাদের সবার কথা শুনেছি। আজ, সরকার ভেঙে দেওয়া হয়েছে,” ।
আজ সকালে জেডি(ইউ) বিধায়কদের একটি বৈঠকের পর, নীতীশ কুমার রাজভবনে রাজ্যপাল রাজেন্দ্র আরলেকারের সঙ্গে দেখা করেন এবং আজ সকাল ১১টা নাগাদ নীতীশ তাঁর তার পদত্যাগপত্র জমা দেন। নীতীশের এই সিদ্ধান্তের ফলে লালু যাদবের রাষ্ট্রীয় জনতা দল (আরজেডি) এবং কংগ্রেসের সঙ্গে তাঁর ১৮ মাসের জোটের সমাপ্তি ঘটে।
বিজেপি এবং জাতীয় গণতান্ত্রিক জোটের অন্যান্য সাংবিধানিক দলগুলির সমর্থনে, নীতীশ কুমার বিহারের পরবর্তী মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেবেন বলে জানা গিয়েছে। আজ বিকেল ৫টায় হবে শপথগ্রহণ অনুষ্ঠান। ইতিমধ্যেই শপথ গ্রহণের প্রস্তুতি শুরু হয়েছে রাজভবনে।
নীতীশ কুমারকে কড়া আক্রমণ করেছে কংগ্রেস। জয়রাম রমেশ নীতীশের পদত্যাগের পর বলেছেন, নীতীশ কুমার, যিনি ঘন ঘন রাজনৈতিক রঙ বদল করছেন বিহারের মানুষ এই বিশ্বাসঘাতকতার উপযুক্ত জবাব দেবে। এটা খুব স্পষ্ট যে প্রধানমন্ত্রী এবং বিজেপি ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রাকে ভয় পাচ্ছেন এবং সেখান থেকে দৃষ্টি সরাতে এই 'রাজনৈতিক নাটক' তৈরি করা হয়েছে।
রবিবার বিহারের রাজ্যপাল রাজেন্দ্র আরলেকারের কাছে নীতীশ কুমার তার পদত্যাগপত্র জমা দেওয়ার সঙ্গে সঙ্গে NDA-এর সঙ্গে রাজ্যে নতুন জোট সরকার গড়ার পথ একেবারে নিশ্চিত। রাজ্যে বিজেপি দু'জন উপমুখ্যমন্ত্রী থাকবেন। উপমুখ্যমন্ত্রী হতে পারেন বিজেপির সম্রাট চৌধুরী, বিজয় সিনহা।