আমফান পরিস্থিতির এক সপ্তাহ পেরোলেও এখনও স্বাভাবিক ছন্দে ফেরেনি কলকাতার অনেক অঞ্চল। আমফান পরিস্থিতি সামাল দিতে ‘ব্যর্থ’ কলকাতা পুরসভা সম্প্রতি এই সুরে পুরসভার প্রশাসক ফিরহাদ হাকিমকে বিঁধলেন তৃণমূলের মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে। আর এরপরই রাজ্যের মন্ত্রীর বিরুদ্ধে দলীয় শৃঙ্খলাভঙ্গের অভিযোগে শোকজ করা হয় বলে তৃণমূল সূত্রের খবর।
জানা গিয়েছে, কলকাতা জেলা তৃণমূল সভাপতি সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বুধবার দলের মানিকতলা কেন্দ্রের বিধায়ক সাধন পাণ্ডেকে শোকজ করেন। মমতা শিবিরের একজন বর্ষীয়ান নেতা হয়েও কীভাবে দলের অপর নেতার বিরুদ্ধে দলকে না জানিয়ে প্রকাশ্যে ক্ষোভ উগরে দিলেন তিনি তা জানতে চাওয়া হয়েছে তৃণমূলের পক্ষ থেকে, এমনটাই সূত্রের খবর। প্রসঙ্গত, আমফান পরবর্তী কলকাতাকে স্বাভাবিক করতে শহরের বিধায়কদের মতামত নেননি ফিরহাদ হাকিম, পুরপ্রশাসকের বিরুদ্ধে এমন অভিযোগও তোলেন সাধন।
ঠিক কী বলেছেন রাজ্যের মন্ত্রী?
মঙ্গলবার, মানিকতলার বিধায়ক তথা রাজ্যের ক্রেতা সুরক্ষা মন্ত্রী সাধন পাণ্ডে বলেন, “আমফান নিয়ে আগেই হাওয়া অফিস সতর্ক করেছিল। কিন্তু পুরসভা প্রস্তুতি নেয়নি। নিলে সাত দিনের মাথাতেও শহরের এই হাল থাকত না।” এমন সুরেই ববি হাকিমকে বিঁধেছেন সাধন জানা গিয়েছে ঘাসফুল শিবির সূত্রে। সাধন প্রশ্ন তোলেন, কেন অভিজ্ঞ শোভন চট্টাপাধ্যায়ের মতামত জানতে চাওয়া হয়নি? যদিও ‘মাথায় গন্ডগোল রয়েছে’ বলে দলের বর্ষীয়াণ এই বিধায়ক তথা মন্ত্রীর বক্তব্য উড়িয়ে দিয়েছেন ফিরহাদ হাকিম। এদিন ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে ফোনে সাধন পাণ্ডে বলেন, "সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় আমাকে একটা চিঠি দিয়েছে।আমি সেটার একটা উত্তর দিয়ে দেব।"শহরের পরিস্থিতি নিয়ে প্রশ্ন করতে ক্রেতাসুরক্ষা মন্ত্রী বলেন, "দেখ কী হয়?"
আরও পড়ুন, তৃণমূলে ঘূর্ণিঝড়, মন্ত্রীতে মন্ত্রীতে বাগযুদ্ধ
এদিকে আমফান পরবর্তী পরিস্থিতিতে রাজ্য মন্ত্রীসভার গুরুত্বপূর্ণ সদস্যরা প্রকাশ্যে একে অপরের বিরুদ্ধে তোপ দেগে বসায় বেজায় অস্বস্তিতে তৃণমূল কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব। ঘূর্ণিঝড়ের পর সাত দিন কেটে গেলেও কলকাতার বেশ কিছু এলাকা এখনও অবরুদ্ধ এবং অন্ধকারাচ্ছন্ন। আর তা নিয়ে এবার তৃণমূল কংগ্রেসের মধ্যেই ক্ষোভ উঠে এল প্রকাশ্যে। তবে রাজ্যের ক্রেতা-সুরক্ষামন্ত্রী সাধন পান্ডের পুরসভার প্রশাসকমন্ডলীর কার্যকলাপ নিয়ে সরাসরি যে ক্ষোভ প্রকাশ করেছে তা বাড়তি গুরুত্ব পেয়েছে এই মুহুর্তের বঙ্গ রাজনীতিতে এমনটাই মত রাজনৈতিক মহলের।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন