পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী সম্বন্ধে তৃণমূল কংগ্রেসের মনোভাব যে যথেষ্ট নরম তা এদিন দলের সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায়ের কথায় স্পষ্ট। টানা দলীয় কর্মসূচিতে না থেকে অরাজনৈতিক সভা-সমাবেশ করলেও শুভেন্দু প্রসঙ্গে প্রশ্নের জবাবে এমনই মনোভাব প্রকাশ পেয়েছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বের। এদিকে বিজেপির বিরুদ্ধে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন সুখেন্দু রায়। রাজ্যে আগত বিজেপির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বকে বহিরাগত তকমা দিয়েছেন তিনি। যদিও তৃণমূল নেতার এই মন্তব্যের কড়া সমালোচনা করেছেন এরাজ্যের বিজেপির পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয়।
২৩ জুলাই তৃণমূল কংগ্রেসের রাজ্য কমিটি ঘোষণা পর থেকেই অরাজনৈতিক কর্মসূচিতে মন দিয়েছেন পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। দল পর্যবেক্ষক পদ তুলে দেওয়ায় মূলত দলের সঙ্গে মতোবিরোধ দেখা দেয় বলে খবর। তৃণমূল কংগ্রেসের কোনও কর্মসূচিতেই তাঁকে দেখা যাচ্ছে না। বরং তৃণমূল নেতৃত্বের একাংশ নাম না করে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেছেন শুভেন্দুকে। আক্রমণ পাল্টা জবাব চলছে। শুভেন্দুর সঙ্গে দলের দূরত্ব কমানোর জন্য তাঁর কাঁথির বাড়িতে গিয়েছিলেন প্রশান্ত কিশোর। তাতেও বরফ গলেনি। তবে এদিন তৃণমূল ভবনে সুখেন্দু শেখরের মন্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছে অভিজ্ঞ মহল।
পরিবহণমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী ও কোচবিহার উত্তরের বিধায়ক মিহির গোস্বামী সংক্রান্ত প্রশ্নের জবাবে সুখেন্দু শেখর রায় বলেন, "মিহির গোস্বামী নিয়ে কিছু বলার নেই। তাঁর বক্তব্য সংবাদ মাধ্যমে স্পষ্টভাবে জানিয়েছেন। শুভেন্দু অধিকারী আমদের দলের বিশিষ্ট নেতা, সর্বোচ্চ নীতি নির্ধারক কমিটির সসদস্য ও রাজ্য মন্ত্রীসভার সদস্য।" তৃণমূল নেতার এই বক্তব্যে অনেকটাই স্পষ্ট যে দলের শীর্ষ নেতৃত্ব নন্দীগ্রামের বিধায়ক সম্পর্কে এখনও কঠোর নয়। বরং দলে রাখতেই আগ্রহী।
এদিকে এদিন তৃণমূল মুখপাত্র সুখেন্দু রায় অভিযোগ করেন, "বহিরাগতদের দিয়ে রাজ্য শান্তির পরিবেশ নষ্ট করার চেষ্টা চলছে। দাঙ্গা বাধাতে চাইছে। তাই কর্মীদের সতর্ক থাকতে বলা হয়েছে। কড়া নজর রাখতে বলা হয়েছে। বিভাজন করার চেষ্টা হলে প্রতিরোধ গড়ে তোলার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।" বিজেপির সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক তথা এরাজ্যের পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় বলেন, "এখানে বাংলাদেশের লোককে স্বাগত জানায়। আমরা কী চায়না থেকে এসেছি?"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন