রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়ের নামে এবার প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে নালিশ তৃণমূলের। ধনকড়কে বাংলার রাজ্যপালের পদ থেকে সরানোর আর্জি জানাল তৃণমূল। দলের তরফে এদিন নরেন্দ্র মোদীর কাছে এই আর্জি জানিয়েছেন বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায়। গতকাল রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দকেও একই আর্জি জানিয়েছিলেন লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।
রাষ্ট্রপতির পর এবার প্রধানমন্ত্রী। পশ্চিমবঙ্গে রাজ্যপালের পদ থেকে জগদীপ ধনকড়কে সরাতে কোমর বেঁধে ময়দানে তৃণমূল। গতকাল বাজেট অধিবেশন শুরুর আগে সংসদের সেন্ট্রাল হলে ভাষণ দেন রাষ্ট্রপতি রামনাথ কোবিন্দ।
রাষ্ট্রপতির বক্তৃতার পরেই সম্পূর্ণ অপ্রত্যাশিতভাবে তাঁর সামনে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালকে সরানোর দাবি তোলেন লোকসভায় তৃণমূলের দলনেতা সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়। বিভিন্ন রাজ্যের রাজ্যপালকে রাষ্ট্রপতিই নিয়োগ করে থাকেন। তাই রাষ্ট্রপতিকে সামনে পেয়ে তাঁর কাছেই বাংলার রাজ্যপালের অপসারণের দাবি জানান সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়।
এরপর আজ সংসদে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে দেখা করে এই একই আবেদন তৃণমূলের। এদিন দলের বর্ষীয়ান সাংসদ সৌগত রায় প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে ধনকড়ের অপসারণের আর্জি জানিয়েছেন। উল্লেখ্য, ২০১৯ সালে পশ্চিমবঙ্গে রাজ্যপালের দায়িত্ব নিয়ে আসার পর থেকে নানা ইস্যুতে রাজ্য সরকারের সঙ্গে সংঘাতে জড়িয়েছেন রাজ্যপাল জগদীপ ধনকড়। রাজ্যের শিক্ষা, স্বাস্থ্য, আইনশৃঙ্খলা ইস্যুতে একাধিকবার সরকারকে কাঠগড়ায় তুলে সোচ্চার হয়েছেন রাজ্যপাল।
আরও পড়ুন- ‘মুখ্যমন্ত্রী মমতা সম্পর্কে ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ শ্রদ্ধা অটুট’, ফের টুইট রাজ্যপাল ধনকড়ের
পাল্টা রাজ্যপালকেও বিজেপির 'এজেন্ট' বলে কটাক্ষ করেছে রাজ্যের শাসকদল। খোদ মুখ্যমন্ত্রীও রাজ্যপালকে সরানোর দাবিতে চারবার চিঠি লিখেছেন প্রধানমন্ত্রীকে। রাজ্যপালের নামে নালিশ জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীকেও। তাতেও কাজ না হওয়ায় সংসদে পশ্চিমবঙ্গের রাজ্যপালের ভূমিকা নিয়ে সরব হতে দলের সাংসদদের নির্দেশ দিয়েছেন তৃণমূলনত্রী। দলনেত্রীর নির্দেশে গতকাল রাষ্ট্রপতির পর আজ প্রধানমন্ত্রী, জগদীপ ধনকড়কে সরানোর দাবি তুললো তৃণমূল।