তৃণমূলের জন্ম লগ্ন থেকে সর্বভারতীয় সভানেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর সেই ১৯৯৮-তে জেলা সভাপতি যাঁরা হয়েছিলেন তাঁদের মধ্যে এখনও দুজন সভাপতি পদে রয়েছেন। তাঁরা রাজ্যের কেবিনেট মন্ত্রীও।
তৃণমূল কংগ্রেস 'এক ব্যক্তি, এক পদ' নীতিতে সংগঠনকে ঢেলে সাজানোর পরিকল্পনা নিয়েছে। সেই লক্ষ্যে সংগঠন তৈরির কাজ চলছে। চলতি মাসে রাজ্যের বেশ কয়েকটি জেলার সভাপতি পরিবর্তন করার কথা। এই তালিকায় কয়েকজন প্রবীণ মন্ত্রী রয়েছেন। উত্তর ২৪ পরগনার তৃণমূল কংগ্রেসের সভাপতি জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ও পূর্ব বর্ধমানের সভাপতি স্বপন দেবনাথ দলের প্রতিষ্ঠালগ্নে সভাপতি ছিলেন। এখনও তাঁরা জেলা সভাপতি। যদিও মাঝে দায়িত্ব বদলও ঘটেছে। নতুনদের এগিয়ে দিতে দুই মন্ত্রীই বদ্ধপরিকর। তবে দীর্ঘকালীন দলের সভাপতি থাকায় দুজনের কথাতেই নষ্টালজিকতা ধরা পড়েছে।
১৯৯৮ সালে তৃণমূল কংগ্রেস গঠন হওয়ার সময় থেকে টানা সর্বভারতীয় সভানেত্রী রয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্য সভাপতি পদেও একবার পরিবর্তন হয়েছে। যুব সভাপতি পদেও বেশ কয়েকবার পরিবর্তন করা হয়েছে। দীর্ঘ এই ২৩ বছর রাজ্যের প্রায় সব জেলা সভাপতি পদে পরিবর্তন করেছে দল। প্রথমে গ্রামীণ বর্ধমান, কাটোয়া লোকসভা ভিত্তিক সংগঠন তারপর পূর্ব বর্ধমান জেলা সভাপতি। টানা প্রায় ২৩ বছর সভাপতি রয়েছেন স্বপন দেবনাথ।
পশুপালন দফতরের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বলেন, "আমার একটা বড় আনন্দ যে এবার এই জেলায় বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপিকে ১৬-০ করতে পেরেছি। কংগ্রেসের জমানায় শূন্য হয়নি। সিপিএমও শূ্ন্য করতে পারেনি। আজ যে এতবছর সভাপতি পদে রয়েছি তাঁর সব কৃতিত্বই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও সাধারণ তৃণমূল কর্মীদের।" স্বপনবাবুর কথায়, "দলের ছেলেদের মামলা বিনেপয়সায় লড়েছি। কেতুগ্রাম, মঙ্গলকোট থেকে রায়না সর্বত্র কর্মীদের অত্যাচার হলেই ছু়টে গিয়েছি। কখনও প্রাণের ভয় করিনি।"
১৯৯০ থেকে উত্তর ২৪ পরগনা জেলার দলীয় পর্যবেক্ষক ছিলেন জ্যোতিপ্রায় মল্লিক। তখন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যুব কংগ্রেসের রাজ্য সভানেত্রী। দলের প্রতিষ্ঠাতা সাধারণ সম্পাদক জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলাকে বলেন, "১৯৯৮ থেকে আমি জেলার সভাপতি ছিলাম ৬ বছর। তারপর নির্মল ঘোষ সভাপতি হন। আমাকে পর্যবেক্ষক করা হয়। ২০১১ পর্যন্ত চালালেন তিনি। তারপর আবার আমি জেলার সভাপতি হই। আমাদের এখন উচিত ব্যাটন ছেড়ে দেওয়া। যাঁর হাতে ব্যাটন থাকবে তাঁকে সহযোগিতা করতে হবে। টার্গেট ২০২৪। ২৩ বছরের মধ্যেয়ে সভাপতি ছিলাম ১৬ বছর।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন