বৃহস্পতিবার রাজ্যসভা থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েনকে। সংসদে নিরাপত্তা সংক্রান্ত ইস্যুতে বিরোধীদের হট্টগোল চলাকালে ও'ব্রায়েন প্রতিবাদ করতে গিয়ে স্পিকারের সঙ্গে বাকবিতণ্ডায় জড়িয়ে পড়েন। এর পর তাকে সংসদ থেকে বরখাস্ত করা হয়। সেই সঙ্গে রাজ্যসভার কার্যক্রমও স্থগিত করা হয়।
হাউসের কার্যক্রম ব্যাহত করার জন্য ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েনের বিরুদ্ধে। পুরো অধিবেশনে যোগ দিতে পারবেন না তিনি। হাউসের কার্যক্রমে বাধা দেওয়ার অভিযোগে টিএমসি সাংসদ ডেরেক ও'ব্রায়েনকে অবশিষ্ট শীতকালীন অধিবেশনের জন্য রাজ্যসভা থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে। উচ্ছৃঙ্খল আচরণের জন্য স্পিকার জগদীপ ধনখড় তাকে অবিলম্বে হাউস ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন।
বুধবার লোকসভায় নিরাপত্তা বিঘ্নিত হওয়ার পর বৃহস্পতিবার (১৪ ডিসেম্বর) আবারও সংসদ শুরু হয়। এই সময়, ও'ব্রায়েন রাজ্যসভার কার্যক্রমে ব্যাঘাত ঘটাতে শুরু করেন, যার ভিত্তিতে তাকে হাউস ছেড়ে যেতে বলা হয়। আসলে, ডেরেক ও'ব্রায়েন সংসদের নিরাপত্তায় ত্রুটি নিয়ে আলোচনার দাবি করেছিলেন। কিন্তু এই নিয়ে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখর তৃণমূল সাংসদের নাম নিয়ে তাঁকে অবিলম্বে সংসদ ছেড়ে যাওয়ার নির্দেশ দেন।
এটি লক্ষণীয় যে ব্রায়ানকেও গত বাদল অধিবেশন থেকেও সাসপেন্ড করা হয়েছিল। এরপর রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড় বাকবিতণ্ডার পর তাকে পুরো অধিবেশনের জন্য হাউস থেকে সাসপেন্ড করেন। চেয়ারম্যান বলেন, ডেরেক ও'ব্রায়েন স্লোগান দিতে দিতে হাউসের কূপে ঢুকে পড়েন। গতকাল, তারা নিরাপত্তা লঙ্ঘনের ঘটনাকে কেন্দ্র করে শুধু স্লোগান দেয়নি, সংসদের কার্যক্রমও ব্যাহত করেছে।
সংসদে অনুপ্রবেশের ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিরোধী সাংসদ ও ডেরেক ক্রমাগত সরকারকে নিশানা করেন। চেয়ারম্যান ধনখড় ডেরেককে তার আচরণের কারণে রাজ্যসভা ছেড়ে যেতে বলেছিলেন কিন্তু চেয়ারম্যানের বারবার অনুরোধের পরেও তিনি বাইরে যাননি। এর পরে রাজ্যসভার চেয়ারম্যান জগদীপ ধনখড় তাকে পুরো অধিবেশনের জন্য সাসপেন্ড করেন।