কংগ্রেস-সহ বিরোধী দলগুলির সমালোচনা সত্ত্বেও রাজ্যসভায় পাশ হয়ে গেল তিন তালাক বিল। মঙ্গলবার ওই বিল পাশের নেপথ্যে বড় ভূমিকা পালন করল এনডিএ-র শরিক জেডিইউ-এর সাংসদদের ওয়াকআউট।
এদিন সকাল থেকে রাজ্যসভায় আলোচনা শুরু হয় তিন তালাক বিল নিয়ে। যদিও ওই বিলের আদতে নাম প্রোটেকশন অফ রাইটস অফ ম্যারেজ-২০১৯। ভোটাভুটির ঠিক আগে জেডিইউ-এর ৭ সাংসদ ওয়াক আউট করায় শাসক এনডিএ-র পক্ষে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জোরে বিল পাশ করাতে সুবিধা হয়। প্রসঙ্গত, আগেই এই বিলটি লোকসভায় ধ্বণিভোটে পাশ হয়ে গিয়েছে।
রাজ্যসভার মোট সদস্যসংখ্যা ২৪১। সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য প্রয়োজন ১২১ জন সাংসদের সমর্থন। এনডিএ জোটের সাংসদ সংখ্যা ১১৩। জেডিইউ ওয়াকআউট করার পর সহজেই সংখ্যাগরিষ্ঠতা প্রমাণ করেন এনডিএ সাংসদেরা।
বিলটি পেশ করে এদিন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী রবিশঙ্কর প্রসাদ বলেন, এই বিষয়টিকে কোনওভাবেই রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গি বা ভোটব্যাঙ্ক রাজনীতির প্রেক্ষিতে দেখা ঠিক হবে না। এই ইস্যুটি মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিতে দেখা প্রয়োজন। প্রসঙ্গত, বিজেপি-র পক্ষ থেকে তাৎক্ষণিক তিন তালাকের রেওয়াজকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ হিসাবে গণ্য করার দাবি উত্থাপন করা হচ্ছে দীর্ঘদিন ধরেই। অন্যদিকে বিরোধীদের অভিযোগ, বিজেপি বিবাহ নামক প্রতিষ্ঠানটিকে আঘাত করছে।
তিন তালাক নিয়ে আলোচনার সময়ই এদিন বিভিন্ন ইস্যুতে বিজেপিকে আক্রমণ করেন বিরোধীরা। গুলাম নবি আজাদ অভিযোগ করেন, এই বিল মুসলিম পরিবারগুলিকে ভিতর থেকে ধ্বংস করার প্রক্রিয়া। দ্বিগ্বিজয় সিং ২০০২ সালের গুজরাট দাঙ্গার প্রসঙ্গ তুলে বিজেপির মুসলিম-দরদকে কটাক্ষ করেন। বিলের বিরোধিতা করে পিডিপি বা এআইএডিএমকের মতো দলও। সিপিআই প্রশ্ন তোলে, আরএসএস-এর অন্দরে নারী স্বাধীনতা নিয়ে কেন সরকার কোনও পদক্ষেপ করে না! বিলটিকে সিলেক্ট কমিটিতে পর্যালোচনার দাবিও জানান বিরোধী সাংসদেরা।