'ন্যায় বিচার চাই, এনআরসি হায় হায়, নরেন্দ্র মোদী হায় হায়' স্লোগানে তখন মুখরিত আগরতলা। বিক্ষোভ তখন তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে। এরই মাঝে খাঁকি উর্দির চোখ রাঙানি। সিএএ বিরোধী আন্দোলনের অপরাধে আগরতলায় গ্রেফতার করা হল ২০০ আদিবাসীকে। অমিত শাহের বিরুদ্ধে প্রতারণার অভিযোগ করে ফের রাজ্যে বনধের হুমকি দিয়েছে সিএএ বিরোধী আদিবাসী যৌথ আন্দোলন-বিক্ষোভ মঞ্চের নেতৃত্ব।
তিন আদিবাসী নির্ভর রাজনৈতিক দলের জোট হল সিএএ বিরোধী আদিবাসী যৌথ আন্দোলন-বিক্ষোভ মঞ্চ। গত ডিসেম্বরে ক্যাবের প্রতিবাদ করে এই মঞ্চের তরফেই টানা তিন দিন ত্রিপুরা বনধের ডাক দেওয়া হয়েছিল। এরপর অবশ্য মঞ্চের মেতারা দিল্লিতে গিয়ে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের সঙ্গে বৈঠক করেন। তাদের দাবি সেই বৈঠকেই শাহ প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন যে, আদিবাসীদের অধিকার ত্রিপুরায় সংরক্ষিত থাকবে এবং এউ প্রসঙ্গে আগামী দিন কয়েকের মদ্যেই পের বৈঠকে বসা হবে।
আরও পড়ুন: সিএএ’র বিরুদ্ধে অনির্দিষ্টকাল বিক্ষোভের পথে বিজেপির জোটসঙ্গী
সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন প্রণয়নের প্রায় এক মাস হতে চলেছে। বিজেপি শাসিত ত্রিপুরাতেও তা লাগুর কথা ঘোষণা করা হয়েছে। কিন্তু, স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর প্রতিশ্রুতি রক্ষা হয়নি বলে অভিযোগ মঞ্চের নেতাদের। তাদের দাবিকে 'অবজ্ঞা' করা হয়েছে এবং তারা 'প্রতারিত' বলে দাবি ত্রিপুরার সিএএ বিরোধী আদিবাসী যৌথ আন্দোলন-বিক্ষোভ মঞ্চের।
এদিনের আন্দোলনে শামিল মঞ্চের আহ্বায়ক অ্যান্টনি দেববর্মা বলেন, 'আমরা ত্রিপুরায় সিএএ লাগুর বিরোধী। ইতিমধ্যেই রাজ্য সরকার ১৯৪৯ সালে এদেশে আসা বহু শরণার্থী ও অভিবাসীকে জোড়াগ করেছে নাগরিকত্ব দেওয়ার জন্য। যা রাজ্যের পক্ষে ভাল নয়।' এছাড়াও মঞ্চের শরিক ন্যাশনাল কনফারেন্স অফ ত্রিপুরার নেতার অনিমেষ দেববর্মা বলেন, 'আমরা কোনও নির্দিষ্ট সম্প্রদায়ের বিরোধী নয়। বাঙালিদের জন্য দেশের যেকোনও জায়গায় পৃথক বাঙ্গালিস্তান করে দিলে আমাদের আপত্তির কিছু নেই। কিন্তু, এরাজ্য আর শরণার্থীদের ভার বহন করতে পারবে না।' ইতিমধ্যেই বিজেপির শরিক আিপিএফটি অনির্দিষ্টকালীন অবস্থান বিক্ষোভে বসেছে।