আর নয় বিজেপিতে। সব কিছু ঠিকঠাক থাকলে সম্ভবত মহালয়ার দিনেই তৃণমূলে যোগ দিতে চলেছেন ত্রিপুরার বিজেপি বিধায়ক আশিস দাস। ত্রিপুরা থেকে কলকাতায় এসে মাথা ন্যাড়া করে গঙ্গায় ডুব দিয়েছেন আশিসবাবু। বিজেপির বিরুদ্ধেও উগরে দিয়েছেন একরাশ ক্ষোভ।
ত্রিপুরার বিজেপি বিধায়ক আশিস দাস। দিন কয়েক ধরেই তৃণমূলের প্রতি প্রশংসা ধরা পড়ছিল তাঁর গলায়। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের একাধিক আচরণের বিরুদ্ধে বিষোদগার শোনা গিয়েছে তাঁর মুখে। ভবানীপুর উপনির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরাট সাফল্যের পরের দিনেই তৃণমূলে যোগ দেওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছিলেন আশিস দাস। এমনকী ত্রিপুরা থেকে কলকাতায় এসে 'প্রায়শ্চিত্ত' করতে মাথা ন্যাড়া করাবেন বলেও জানিয়েছিলেন তিনি। যেমন কথা তেমন কাজ। মহলয়ার আগের দিনেই সূদূর ত্রিপুরা থেকে কলকাতায় বিজেপি বিধায়ক।
মাথা ন্যাড়া করে আদি গঙ্গায় ডুব দিলেন পড়শি রাজ্যের এই বিধায়ক। সম্ভবত আগামিকালই তিনি তৃণমূলে যোগ দিতে চলেছেন। এর আগে ত্রিপুরায় তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের মিছিলে অনুমতি না দেওয়া নিয়ে শোরগোল পড়ে যায়। বিপ্লব দেবের নেতৃত্বাধীন ত্রিপুরা সরকার করোনা বিধির কথা জানিয়ে অভিষেকের মিছিলে অনুমতি দেয়নি।
এই ঘটনা নিয়ে বিজেপি নেতৃত্বাধীন সরকারের সমালোচনায় সরব হন সেরাজ্যেরই গেরুয়া বিধায়ক আশিস দাস। ত্রিপুরায় আইনের শাসন নেই বলেও মন্তব্য করেছিলেন তিনি। পরে তাঁর বিরুদ্ধে দলের অন্দরে সমালোচনার ঝড় বইলেও নিজের বক্তব্য থেকে সরেননি তিনি। কারও বিরুদ্ধে কোনও পক্ষপাতিত্ব করছেন না জানিয়েই বক্তব্যে অনড় থেকে যান আশিস দাস।
আরও পড়ুন- আদিবাসী মহিলাকে তুলে নিয়ে ‘গণধর্ষণ’, গা শিউরে ওঠার মতো ঘটনা মন্তেশ্বরে
এদিকে, বাংলায় তৃতীয়বারের জন্য বিপুল সাফল্য নিয়ে ক্ষমতায় আসার পর তৃণমূলের পাখির চোখ ত্রিপুরা। বিজেপি শাসিত ত্রিপুরায় সংগঠন পাকাপোক্ত করতে মরিয়া তৃণমূল। এই আবহে পড়শি রাজ্যের বিজেপি বিধায়ক সত্যিই যদি তৃণমূলে যোগ দেন, তবে তা নিশ্চিত জোড়াফুলের কাছে বড়সড় পাওনা।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন