"দেশের প্রতিটি ঘরে ঘরে গরু থাকা উচিত। যুবক সম্প্রদায় রাজনীতি না করে গরুর দুধ দুয়ে বছরে ১০ লক্ষ টাকা আয় করতে পারে," "মেকানিকাল নয়, একমাত্র সিভিল ইঞ্জিনিয়ারদেরই সিভিল সার্ভিসে বসা উচিত।" ঐতিহাসিক এইসব পরামর্শ দিয়েছিলেন যিনি, সেই বিপ্লব দেব আবার শিরোনামে। ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রী ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন, সদ্য প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর অস্থি ভাসানো হবে ত্রিপুরার নদীতে। এভাবেই প্রয়াত নেতার প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করতে চান বিপ্লববাবু।
রবিবারের এক অনুষ্ঠানে মুখ্যমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, "অটল বিহারীর প্রয়াণে দলের অপূরণীয় ক্ষতি হয়েছে। তাঁর দেহাংশ নিয়ে এসে গোমতী, হাওড়াসহ আমাদের রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ নদীতে ভাসাতে চাই।" প্রয়াত নেতার স্মৃতির উদ্দেশ্যে সারা রাজ্যেই একমাস ধরে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়েছে, জানালেন মুখ্যমন্ত্রী। রাজ্যের বিভিন্ন বুথকে এইসব অনুষ্ঠান পরিচালনার দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে। মুখ্যমন্ত্রীর নিজের কেন্দ্র বনমালীপুরের বুথকর্মীদের সঙ্গে এই নিয়ে একপ্রস্থ আলোচনা হয়ে গিয়েছে ইতিমধ্যেই। বাকি বিধায়ক এবং দলের সাধারণ সদস্যদেরও সেইরকমই নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
গত ১৬ আগস্ট প্রয়াত প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রীকে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে রাজধানীতে উপস্থিত হয়েছিলেন বিভিন্ন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। বাদ ছিলেন না বিপ্লব দেবও। "ভারত রত্ন অটল বিহারী বাজপেয়ী একজন জননায়ক ছিলেন। কারোর সাথে তাঁর তুলনা চলে না। তাঁর নেতৃত্বে ভারতে বিজেপির সমুহ বিকাশ ঘটেছিল। উত্তর পূর্ব ভারতের জন্য বাজপেয়ীর মনে একটা আলাদা জায়গা ছিল," এটাই ছিল ত্রিপুরার মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিক্রিয়া।