রাজ্যে জাতীয় সড়ক নির্মাণের কাজে প্রায় ১০ হাজার কোটি টাকার কেলেঙ্কারির সঙ্গে সরাসরি যুক্ত রয়েছে ত্রিপুরা সরকার, কংগ্রেসের পক্ষ থেকে এমনটাই অভিযোগ ছিল। সেই অভিযোগকে 'ভিত্তিহীন' বলে উড়িয়ে দিল রাজ্য সরকার। সোমবার ত্রিপুরা সরকারের তথ্য ও সংস্কৃতি দফতরের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কংগ্রেসের অভিযোগ সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং মিথ্যে।
রবিবার সন্ধ্যায় ত্রিপুরার প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি গোপাল চন্দ্র রায় ন্যাশনাল হাইওয়ে অ্যান্ড ইনফ্রাস্ট্রাকচার ডেভেলপমেন্ট কর্পোরেশন লিমিটেড (এনএইচডিসিএল), কেন্দ্রীয় পরিবহনমন্ত্রী নিতিন গড়করি এবং মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের দিকে অভিযোগের আঙুল তোলেন। তাঁর অভিযোগ, সড়ক নির্মাণের কাজে উদ্দেশ্যপ্রণোদিত ভাবে স্থানীয় পিডব্লিউডি কর্মীদের বঞ্চিত করা হয়েছে। রবিবারের সাংবাদিক বৈঠকে গোপাল চন্দ্র রায় একটি চিঠির উল্লেখ করেন যেখানে মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের পরামর্শদাতা ভাই বিজয় দেবের এক বৈঠকে যোগ দিতে দিল্লী যাওয়ার উল্লেখ রয়েছে আগস্ট মাসের ১০ তারিখ।
আরও পড়ুন, ত্রিপুরার ১৮ জন আদিবাসী শিশুকে উদ্ধার করল বিহার পুলিশ
৬২০ কিলোমিটার দীর্ঘ জাতীয় সড়ক তৈরির ভার কাদের দেওয়া হবে, তাই নিয়েই ছিল বৈঠক। সেখানেই বিজেপি নেতৃত্ব সিদ্ধান্ত নেন, কাজের ভার দেওয়া হবে বেসরকারি সংস্থা এনএইচডিসিএল-কে। গোপালবাবুর অভিযোগ, সরকারি রীতি মেনে কোনো টেন্ডার ফেলা হয়নি। এবং বঞ্চিত করা হয়েছে স্থানীয় কর্মীদের। রাজ্য সরকারের সবচেয়ে বড় কেলেঙ্কারি হিসেবে একে চিহ্নিত করে ঘটনার সিবিআই তদন্ত দাবি করেছেন ত্রিপুরা প্রদেশ কংগ্রেসের সভাপতি।
ত্রিপুরা সরকার এই অভিযোগ প্রসঙ্গে জানিয়েছে, এনএইচডিসিএল কোনও ঠিকাদার নয়, বরং কেন্দ্রের পরিবহন দফতরের উন্নয়ন এবং রক্ষণাবেক্ষণের কাজ প্রায়ই করে থাকে এই সংস্থা। সরকারের তরফ থেকে আরও জানানো হয়েছে, স্থানীয় পিডব্লিউডি-র পক্ষে জাতীয় সড়ক মেরামতির কাজ করা সম্ভব হয় না সবসময়। রাজ্য পিডব্লিউডি-র তহবিলে এই কাজের জন্য যথেষ্ট অর্থ নেই বলেও জানিয়েছে ত্রিপুরা সরকার।