আইনি লড়াইয়ে জয় তৃণমূলের। রবিবার আগরতলায় অভিষেকের সভা হচ্ছে।
রবিবার পূর্বনির্ধারিত স্থান, আগরতলার রবীন্দ্র ভবন চত্ত্বরেই হবে তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা। আগরতলা পুলিশের দাবি উড়িয়ে শনিবার রাতে এই নির্দেশ দিয়sছে আগরতলা হাইকোর্টের বিচারপতি সুভাশিষ তলাপাত্র। ফলে আইনি লড়াইয়ে বড় ধাক্কা খেল বিপ্লব দেব প্রশাসন।
Advertisment
করোনাকালে আগরতলার রবীন্দ্র ভবনের সামনে সভায় প্রথমে অনুমতি দেয় পুলিশ প্রশাসন। পরে বেশি জনসমাগম হতে পারে, এই আশঙ্কা থেকেই সভার স্থান বদলের নির্দেশ দেয় পুলিশ। পুলিশ জানায় তৃণমূলের সভাস্থল আস্তাবল মাঠে সরিয়ে নিতে হবে। শেষ মুহূর্তে পুলিশের এই নির্দেশ ঘিরে তৃণমূল শিবিরের চরম অসন্তোষ দানা বাঁধে। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা বানচালে বিজেপি সরকার 'ষড়যন্ত্র' করছে বলে দাবি করে ঘাস-ফুল শিবির। মঞ্চ খুলতে গেলে তৃণমূল নেতা কর্মীদের সঙ্গে পুলিশের বচসা হয়। রবীন্দ্রভবনের সামনেই অবস্থানে বসেন দলের কর্মী, নেতারা।
এরপরই পুলিশের বিরুদ্ধে ত্রিপুরা হাইকোর্টে আবেদন করে তৃণমূল। শেষ পর্যন্ত অনলাইনে হয় শুনানি। সওয়াল জবাবে আগরতলা পুলিশের দাবি উড়িয়ে দিয়েছেন বিচারপতি। রবীন্দ্র ভবন চত্ত্বরেই কোভিডবিধি মেনে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভার অনুমতি দেওয়া হয়।
ত্রিপুরা হাইকোর্টের এই রায়কে দলের জয় হিসাবেই দেখছে তৃণমূল। উচ্ছ্বসিত দলের নেতা, কর্মীরা।
Advertisment
এই প্রথম নয়, ১৫ সেপ্টেম্বর থেকে একাধিকবার অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা করার জন্য আরগতলা পুলিশের থেকে তৃণমূল অনুমতি চাইলেও নানা সময়ে কোভিডবিধির কথা বলে, কখনও ১৪৪ ধারা জারি করে তা খারিজ করা হয়েছে। এবারও করোনার কথা বলে অভিষেকের সবা অন্যত্র সরানোর কথা জানায় বিপ্লব দেবের পুলিশ। কিন্তু, আদালতের রায়ে ধাক্কা খেতে হল তাদের।
আদালতের রায়ের পরই টুইট করেছেন তৃণমূলের পশ্চিমবঙ্গের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ।
Breaking: ত্রিপুরা হাইকোর্টের রায়। সরকার ও পুলিশের বাধা চক্রান্ত ছিল দিনভর। রাতে শুনানির পর রায়- রবিবার রবীন্দ্রভবনের সামনেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সভা। কোর্টের শর্ত- তৃণমূল 500 জনের বেশি রাখতে পারবে না। রাজ্য সরকারের আপত্তি গ্রাহ্য হয়নি। অভিষেক আসছে। সভা হবে।