ত্রিপুরা পুরভোটে গেরুয়া ঝড়। বিরোধীদের হেলায় উড়িয়ে বিশাল জয় বিজেপির। রাজ্যের পুরভোটে ৩৩৪ আসনের মধ্যে ৩২৯টিতেই জয়ী বিজেপি প্রার্থীরা। অর্থাৎ ৯৯ শতাংশ আসনেই বাজিমাত পদ্ম-প্রার্থীদের। আগরতলা পুরসভা বিজেপির দখলে। বামেদের থেকে আগরতলা কর্পোরেশন ছিনিয়ে নিল বিজেপি। আগরতলায় নিরঙ্কুশ সংখ্যাগরিষ্ঠতা পদ্ম শিবিরের। এখনও পর্যন্ত ঘোষিত ফল অনুযায়ী আগরতলায় ১৩টি ওয়ার্ডে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তৃণমূল। ১২টি ওয়ার্ডে দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে বামেরা। এই প্রথম ত্রিপুরা পুরভোটে অংশ নিয়েই অস্তিত্ব জানান দিল জোড়াফুল শিবির।
ত্রিপুরার পুরভোটের ফলে হাসি আরও চওড়া মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেবের। বিপুল সাফল্য ঘরে তুলল বিজেপি। রাজ্যের ৩৩৪ আসনের মধ্যে ৩২৯টিতেই জয়ী বিজেপি। আগরতলা পুরসভা বামেদের থেকে ছিনিয়ে নিয়েছে বিজেপি। নির্বাচনের আগেই রাজ্যের ১১২ আসনে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় জয়ী হয়েছিল বিজেপি। বাকি আসনগুলিতে নির্বাচন হয়েছিল। সেখানেও বাজিমাত পদ্ম প্রার্থীদের।
ত্রিপুরায় বিজেপির দখলে ১৩ পুরসভা। ৪টি নগর পঞ্চায়েতেও জয়ী বিজেপি। ত্রিপুরা পুরভোটে মাত্র ৩টি আসনে জিতেছে বামেরা। অন্যদিকে প্রথমবার ভোটে লড়ে ত্রিপুরায় খাতা খুলেছে তৃণমূল। আমবাসা পুর পরিষদের একটি আসনে জিতেছেন তৃণমূল প্রার্থী। আগরতলা কর্পোরেশনে আসন না পেলেও ১৩টি ওয়ার্ডে বিজেপির পরেই দ্বিতীয় স্থানে রয়েছে তৃণমূল। দলের এই ফলে একেবারেই হতাশ নন পশ্চিমবঙ্গ তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ। বরং ভোটের এই ফলে উৎসাহিত হয়েছেন বলে টুইটে তিনি জানিয়েছেন। ত্রিপুরায় পুরভোট অবাধ-শান্তিপূর্ণ হলে বিজেপি পর্যদুস্ত হত বলেই মনে করেন কুণাল ঘোষ।
আরও পড়ুন- কলকাতার পুরযুদ্ধে কংগ্রেস পার্থীর ভোলবদল, সাফ বললেন, ‘মিথ্যা প্রচার-তৃণমূলেই আছি’
এদিন ত্রিপুরা পুরভোটে দলের এই ফল সম্পর্কে কুণাল ঘোষ টুইটে লিখেছেন, 'নিঃশব্দ বিপ্লব' কাজ করছে। দু'মাসের সংগঠন @AITCofficial-র।' ওদের হামলা, মামলা,144 ধারা, ছাপ্পা। তাতেও দুমাসেই আমরা +/- 20% ভোট। সব তথ্য আসছে। অবাধ ভোট হলে বিজেপি থাকত না। আমরা উৎসাহিত। মানুষ সাড়া দিচ্ছেন। ধন্যবাদ। পরের কাজ শুরু। ২০২৩ আমাদের।'
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন