Advertisment

সিএএ'র বিরুদ্ধে অনির্দিষ্টকাল বিক্ষোভের পথে বিজেপির জোটসঙ্গী

ডিসেম্বর ২০১৯-এ সংসদে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস হওয়ার আগে থেকেই এর বিরোধিতা করে এসেছে IPFT, এবং বিল থেকে আইনে পরিণত হওয়ার পরেও অব্যাহত সেই বিরোধিতা।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
tripura ipft

মিছিলের দাবি। নিজস্ব চিত্র

ত্রিপুরায় নাগরিকত্ব সংশোধনী আইনের (সিএএ) প্রতিবাদে সোমবার থেকে অনির্দিষ্ট অবস্থান বিক্ষোভ ঘোষণা করল শাসক জোটের অংশীদার ইন্ডিজেনাস পিপলস ফ্রন্ট অফ ত্রিপুরা (IPFT)। পাশাপাশি উঠে এসেছে রাজ্যের উপজাতি গোষ্ঠীগুলির জন্য পৃথক রাজ্যের দাবিও।

Advertisment

গত বছরের মার্চ মাসে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে ত্রিপুরায় সরকার গঠন করে IPFT। এই দলটির জন্ম ২০০৯ সালে, মূলত প্রস্তাবিত 'টিপরাল্যান্ড'-এর দাবিকে কেন্দ্র করে, যা রাজ্যের একমাত্র স্বশাসিত জেলা কাউন্সিলের অধীনস্থ এলাকায় বসবাসকারী উপজাতিদের নিয়ে গঠন করার দাবি উঠেছে।

ডিসেম্বর ২০১৯-এ সংসদে নাগরিকত্ব সংশোধনী বিল পাস হওয়ার আগে থেকেই এর বিরোধিতা করে এসেছে IPFT, এবং বিল থেকে আইনে পরিণত হওয়ার পরেও অব্যাহত সেই বিরোধিতা। এবার IPFT-র ঘোষণা, কেন্দ্র যতদিন না এ বিষয়ে ইতিবাচক পদক্ষেপ নিচ্ছে, ততদিন ত্রিপুরা স্বশাসিত জেলা কাউন্সিলের সদর খুমুলং-এর দুকমালি বাজারে অনির্দিষ্টকালের জন্য চলবে অবস্থান বিক্ষোভ।

ত্রিপুরার অন্যান্য উপজাতি সংগঠনের মতোই IPFT-র বক্তব্য, ত্রিপুরায় একসময় সংখ্যাগরিষ্ঠ উপজাতিরা তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান থেকে আসা বিপুল সংখ্যক উদ্বাস্তুদের চাপে নিজেদের রাজ্যেই সংখ্যালঘু হয়ে গেছেন, যেখানে একসময় রাজ্য শাসন করতেন উপজাতিক রাজারা।

IPFT শীর্ষনেতা তথা ত্রিপুরার রাজস্ব মন্ত্রী নরেন্দ্রচন্দ্র দেববর্মা বলেছেন, সিএএ লাগু হলে, এবং বিদেশ থেকে আগত শরণার্থীদের এরাজ্যে বসবাস করতে দেওয়া হলে আরও কোণঠাসা হয়ে পড়বেন রাজ্যের উপজাতি সম্প্রদায়ের মানুষ। তাঁর কথায়, "ত্রিপুরায় অবৈধ অনুপ্রবেশকারী রয়েছে। তার প্রমাণ রয়েছে একাধিক রিপোর্টে, যেগুলির অনেক ক'টিই ভারত সরকার দ্বারা প্রকাশিত। এখানে আরও লোক থাকতে এলে তা উপজাতিদের স্বার্থের বিরুদ্ধে যাবে।"

উপজাতি বিষয়ক মন্ত্রী তথা IPFT-র সাধারণ সম্পাদক মেবর কুমার জামাতিয়া সিএএ-কে "অত্যন্ত ক্ষতিকারক" আখ্যা দিয়ে বলেন, তিনি আশা করছেন ত্রিপুরাকে এই আইনের আওতার বাইরে রাখবে কেন্দ্র। তাঁর দাবি, গত বছরের ডিসেম্বর মাসে এক বৈঠকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ আশ্বাস দেন যে রাজ্যের উপজাতিরা 'সুরক্ষিত' থাকবেন। জামাতিয়া এও যোগ করেন যে তাঁর দলের অবস্থানের সঙ্গে বিজেপি সহমত না হলেও নাগরিকত্বের বিষয় নিয়ে আন্দোলন চালিয়ে যাবে তারা। দুই নেতারই অভিমত, উপজাতিদের নিজেদের রাজ্য গঠনই এই সমস্যার একমাত্র চিরস্থায়ী সমাধান।

এর আগে রবিবার তিনটি রাজনৈতিক উপজাতি দল এবং সংগঠনকে নিয়ে গঠিত জয়েন্ট মুভমেন্ট এগেইন্সট সিএএ (JMACAA)-র পক্ষ থেকে এক বিক্ষোভ কর্মসূচীর ঘোষণা করা হয়, যা শুরু হবে ৭ জানুয়ারি অনুষ্ঠেয় সিএএ এবং এনআরসি-র বিরুদ্ধে প্রতিবাদ সমাবেশ দিয়ে।

tripura
Advertisment