ত্রিপুরার আগরতলা পুরভোট ঘিরে বেশ কয়েকদিন ধরে উত্তপ্ত পরিস্থিতি। পুরভোটের প্রচারে আগরতলায় অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সফরের আগে অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠল পরিস্থিতি। থানায় ডেকে তৃণমূল নেতাদের উপর হামলার অভিযোগ উঠল। কাঠগড়ায় শাসকদল বিজেপি। হামলায় আহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন তৃণমূল নেতী-কর্মী। পরিস্থিতি সামাল দিতে লাঠিচার্জ করে পুলিশ।
এদিন সকালে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য যুব তৃণমূলের সভানেত্রী সায়নী ঘোষ-সহ বেশ কয়েকজন নেত্রীকে আগরতলা পূর্ব মহিলা থানায় ডেকে পাঠানো হয়। তারপরই শুরু হয় উত্তেজনা। অভিযোগ, বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা থানায় ঢুকে তাঁদের উপর হামলা চালায়। তৃণমূলের দাবি, থানার বাইরে লাঠি হাতে, হেলমেট পরে দাঁড়িয়ে ছিল বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। সায়নী এদিন থানায় ঢুকতেই হামলা চালায় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। তৃণমূল নেতা সুবল ভৌমিকের গাড়িও ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
রবিবার হিট অ্যান্ড রানের অভিযোগে সায়নীকে থানায় ডাকা হয় জেরা করার জন্য। এদিন তিনি থানায় ঢোকেন কয়েকজন তৃণমূল নেতার সঙ্গে। তৃণমূলের অভিযোগ, থানায় আসার জন্য অপেক্ষা করছিল বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। পরিকল্পিত ভাবে হামলা চালানো হয়েছে তাঁদের উপর। সুবল ভৌমিকের অভিযোগ, পুলিশের সামনেই তাঁদের উপর ইট-পাথর ছোড়া হয়। পুলিশকে কাজে লাগিয়ে হামলা করছে বিজেপি।
এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছেন, ত্রিপুরায় জঙ্গলের রাজত্ব চলছে। থানায় ডেকে এনে মেরে ফেলার ছক ছিল। এদিন থানার বাইরে পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হলে সামাল দিতে নামে পুলিশ। ব্যাপক লাঠিচার্জ করে পুলিশ। অন্যান্য থানা থেকে চলে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী। মোতায়েন করা হয় আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ানদের।
আরও পড়ুন ক্যানিংয়ে বাড়ির সামনে যুব তৃণমূল নেতাকে গুলি, ভোররাতে SSKM-এ মৃত্যু
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন