সেপ্টেম্বরের ৩০ তারিখ ত্রিপুরার আসন্ন পঞ্চায়েত উপনির্বাচনের দিন ধার্য হয়েছে। বিজেপি-আইপিএফটি জোট সরকার গঠন করলেও পঞ্চায়েত নির্বাচনে একে অন্যের বিরুদ্ধে লড়বে দুটি দল।
বৃহস্পতিবার বিকেলে বিজেপি পঞ্চায়েত নির্বাচন কমিটির চেয়ারম্যান রতন লাল নাথ ৩১৫৫জন প্রার্থীর প্রথম তালিকা ঘোষণা করেছেন। এর মধ্যে ২৯৮০ জন লড়বেন গ্রাম পঞ্চায়েত আসনে। পঞ্চায়েত সমিতি এবং জেলা পরিষদের আসনে লড়ছেন যথাক্রমে ১৫৭ এবং ১৮ জন প্রার্থী।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সাংবাদিককে রতন লাল নাথ জানিয়েছেন, বিজেপির পক্ষ থেকে ১৯৯৮ জন মহিলা প্রার্থী দেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন, ত্রিপুরা পঞ্চায়েত উপ নির্বাচনে সব আসনেই প্রার্থী দিচ্ছে কংগ্রেস
আইপিএফটি সাধারণ সম্পাদক মঙ্গল দেব বর্মণ বলেছেন, "উপনির্বাচনে লড়ার জন্য বিজেপির পক্ষ থেকে আমাদের কিছু বলা হয়নি। তাই আমরা পৃথক ভাবে নির্বাচন লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছি। কাল নাম ঘোষণার আগে আমাদের সভাপতির সঙ্গে বিজেপির পক্ষ থেকে যোগাযোগ করা হয়। কিন্তু আলাদা আলাদা ভাবে লড়ছি, স্বাভাবিক ভাবেই একে অন্যের বিরুদ্ধে প্রার্থী দেবই"।
২০১৯-এর লোকসভা নির্বাচনেও যে আলাদা ভাবে নির্বাচন লড়বে বিজেপি এবং আইপিএফটি, সে কথা আগেই ঘোষণা করে দিয়েছে। ত্রিপুরার বিজেপি প্রধান সুনীল দেওধর জানিয়ে দিয়েছিলেন, লোকসভা নির্বাচনে পৃথক ভাবে লড়বেন তাঁরা। আইপিএফটি নেতৃত্ব অবশ্য জানিয়েছে পৃথক ভাবে নির্বাচন লড়ার সিদ্ধান্ত যথেষ্ট ভেবেচিন্তেই নেওয়া হয়েছে।
প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, দিন কয়েক আগেই ত্রিপুরা কংগ্রেস ঘোষণা করেছে আসন্ন উপনির্বাচনে সব আসনেই প্রার্থী দেবে তারা।
ত্রিপুরা সিপিআই(এম)- এর রাজ্য সম্পাদক বিজন ধর ফোনে ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসের সাংবাদিককে আগেই জানিয়েছেন, “আসন্ন উপনির্বাচনের জন্য আমরা যত বেশি সংখ্যক আসনে প্রার্থী দেওয়া যায়, সেই চেষ্টা করব।