এবার আত্মরক্ষার্থে শিবের ত্রিশূলের ওপর ভরসা রাখতে চলেছে বিজেপি। রাজ্যে ৯০ হাজার ত্রিশূল সংগঠনের কর্মীদের বাড়িতে বাড়িতে পৌঁছে দেবে বিজেপির রাজ্য যুব মোর্চা। এই কর্মসূচির ঘোষণা করেছেন সংগঠনের রাজ্য সভাপতি সাংসদ সৌমিত্র খাঁ। সোমবার বিষ্ণুপুরের বাবা থানেশ্বরের মন্দিরে মস্তক মুন্ডন করে প্রতীকী ত্রিশূল তুলে দিয়েছেন। ১২৬৩ সালে মল্লরাজার প্রতিষ্ঠিত বাবা থানেশ্বর মন্দিরে এদিন ঘটা করে পুজো-পাঠ ও যজ্ঞ হয়েছে।
পুকুর থেকে মাথায় করে জলের ঘট নিয়ে এসেছেন। মুন্ডন করেছেন মাথা। বিষ্ণুপুরের বিজেপি সাংসদের সঙ্গে দলের আরও ৯ নেতা এদিন মুন্ডন কর্মসূচিতে অংশ নিয়েছেন। সাংসদের বক্তব্য, এভাবেই রাজ্যের হিংসার প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সৌমিত্র খাঁ বলেন, "৫ অগাস্ট মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার লকডাউন করে রামমন্দিরের উৎসব উদযাপিত করতে দেয়নি। হিন্দু সমাজের বিরোধিতা করেছেন। এবং ১৫ অগাষ্ট ভারতের জাতীয় পতাকা তুলতে পারেননি একজন দলিত ছেলে। উল্টে তাঁকে খুন করা হয়েছে। তাই নীরব প্রতিবাদ করলাম মুন্ডন করে। সৌমিত্র খাঁ ছাড়াও দলের জেলা সম্পাদক অমরনাথ পাঁজা, কাউন্সিলর সহ ৯ জন এদিন মুন্ডন করেছেন।
কেন ত্রিশূল দেওয়ার কর্মসূচি?
তবে শুধু মুন্ডন করেই ক্ষান্ত হননি দলের এই যুব সাংসদ। এদিন ত্রিশূল তুলে দেন দলের কর্মীদের হাতে। তিনি বলেন, "ভারতের জাতীয় পতাকা পশ্চিমবঙ্গে তোলা যায় না। প্রত্যেক দিন জনতা পার্টির কর্মীকে খুন করা হচ্ছে। আর তাই ত্রিশুল হাতে দিলাম। এই ত্রিশূল হাতে রাখতে হবে। আমরা পূরাণে দেখেছি ত্রিশূলের দ্বারাই অশুভ শক্তিকে দমন করা গিয়েছে। বাড়িতে শিবের প্রতীক ত্রিশূল রাখলে এই ধরনের কাজ করতে পারবে না। আত্মরক্ষার্থে কাজে লাগবে। ত্রিশূল ধরে প্রতিজ্ঞাবদ্ধ হলাম। পশ্চিমবঙ্গের যুব মোর্চা তিন মাসের মধ্য ৯০ হাজার ত্রিশূল বাড়ি বাড়ি পৌঁছে দেবে।"
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন