পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনের ফলাফলে চার রাজ্যে মুখ থুবড়ে পড়তে হয়েছে কংগ্রেসকে। শুধুমাত্র তেলেঙ্গানায় কংগ্রেস সংখ্যাগরিষ্ঠতা নিয়ে সরকার গঠন করতে পেরেছে। কংগ্রেসের পরাজয়ের পর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর। তিনি বলেন, পরাজয়ের পর কংগ্রেস অশালীন ভাষা ব্যবহার করছে।
কংগ্রেসকে অভিযুক্ত করে অনুরাগ ঠাকুর বলেন, 'তাদের চিন্তাভাবনা পরিষ্কার। তারা দেশের সংস্কৃতি ও দেশের পরিচয়কে ধ্বংস করতে চায়। দেশকে টুকরো টুকড়ো করার এজেন্ডা সামনে রেখে এগোতে চাইছে কংগেস। কিন্তু আমরা দেশকে বিভক্ত হতে দেব না। তাদের চিন্তা শুধু হিন্দুত্ব ও সনাতন ধর্মকে অবমাননা করা। কংগ্রেস ও তার সহযোগীরা সনাতন ধর্মকে অপমান করেই চলেছে'।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলেন, 'দিগ্বিজয় সিং সহ অনেক বিরোধী নেতা ইভিএম নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন। কংগ্রেস সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে বিশ্বাস করে না। পরাজয়ের পর হারের কারণে ফোকাস না করে তারা শুধু ইভিএমকে দায়ি করে চলেছে। শুধুমাত্র হিন্দু এবং সনাতন ধর্মকে টার্গেট করে বিবৃতি দিয়ে চলেছে কংগ্রেস।
৫ রাজ্যের বিধানসভা নির্বাচনে, ছত্তিশগড়, মধ্যপ্রদেশ এবং রাজস্থানে বিজেপি সংখ্যাগরিষ্ঠতা অর্জন করে। কংগ্রেস তেলঙ্গানায় এবং মিজোরামে জোরাম পিপলস মুভমেন্ট সরকার গঠনে সফল হয়েছে।
কেন্দ্রীয় মন্ত্রী অনুরাগ ঠাকুর বলেছিলেন যে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী যখন সারা বিশ্বে 'বসুধৈব কুটুম্বকম'-এর বার্তা ছড়িয়ে দেওয়ার চেষ্টা করছেন, বিধানসভা নির্বাচনে হেরে যাওয়ার পরে বিরোধীরা বাজে ভাষা ব্যবহার করছে।
তিনি আরও বলেন, “ভারতের ঐক্যকে নষ্ট করার জন্য একটি সুপরিকল্পিত ষড়যন্ত্র করা হচ্ছে। এটি আমেঠিতে হারের সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয়েছিল, তারপরে ওয়ানাডে রাহুল গান্ধীর বক্তব্য তার জলজ্যান্ত উদাহরণ।
অনুরাগ ঠাকুর আরও বলেন, “রাহুল গান্ধী এবং সনিয়া গান্ধীর কাছে আমার প্রশ্ন হল, কেন কংগ্রেস এমন একটি চিন্তার প্রচার করছে যা শেষ পর্যন্ত দেশকে বিভক্ত করার দিকে এগিয়ে নিয়ে চলেছে? কখনও জাতপাত, কখনও আঞ্চলিকতাকে মদত দিচ্ছে কংগ্রেস। কেন বারবার উত্তরপ্রদেশের মানুষকে আক্রমণ করা হচ্ছে? তিনি বলেন, যখন আপনার সহযোগী দলগুলি উত্তর ভারতীয়দের বিরুদ্ধে অবমাননাকর মন্তব্য করে তখন আপনি কেন নীরব থাকেন"।