বাংলায় করোনার বাড়বাড়ন্তের জন্য নবান্নকে দায়ী করেছেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এবার পাল্টা দিল তৃণমূল। জোড়-ফুল শিবিরের দাবি, পরশি রাজ্য ত্রিপুরাকে 'কোভিড ম্যানুফ্যাকচারিং হাব'-এ পরিণত করছেন প্রধানমন্ত্রী মোদী।
Advertisment
করোনা আবহে মঙ্গলবার আরগতলার স্বামী বিবেকানন্দ ময়দানে সভা করেন প্রধানমন্ত্রী মোদী। ভিড়ে ঠাসা জনসভা। শিকেয় কোভিডবিধি। সভায় উপস্থিত মানুষদের অনেকের মুখেই মাস্কয়ের বালাই নেই। আর দূরত্ববিধি তো অলীক কল্পনা। জানা গিয়েছে, এ দিনের অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকার জন্য সব সরকারি কর্মী, আধিকারিকদের হাজিরার নির্দেশ দিয়েছিল ত্রিপুরার বিপ্লব সরকার। মানুষের জমায়েত বৃদ্ধিতে ছিল স্পেশাল ট্রেন, অতিরিক্ত বাস সহ অন্যান্য় পরিবহণের ব্যবস্থাও।
ফলে সভা ঘিরে ভিড় ছিল উপচে পড়া। যা নিয়েই সোচ্চার ত্রিপুরা দখলের স্বপ্ন দেখা বাংলার শাসককূল। প্রধানমন্ত্রীর সভায় থিকথিকে ভিড়ের ছবি দিয়ে এ দিন টুইট করেছিলেন মুখ্যমন্ত্রী বিপ্লব দেব। যা তুলে ধরেই পাল্টা সরব হয়েছে তৃণমূল।
টুইটে ত্রিপুরা তৃণমূলের তরফে লেখা হয়েছে, 'হাজারো জীবনকে বিপদের মুখে ঠেলে দিচ্ছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী! ত্রিপুরাকে একটি 'কোভিড ম্যানুফ্যাকচারিং হাব'-এ পরিণত করা হচ্ছে। প্রধানমন্ত্রী কি সত্যিই মনে করেন, তিনি মানুষকে রক্ষা করতে সক্ষম?' মানুষের জীবন নিয়ে খেলার জন্য নরেন্দ্র মোদীজি, লজ্জিত বিপ্লব দেবের লজ্জা হওয়া উচিত।'
দেশের উত্তর-পূর্বের পাহাড়ি রাজ্যে ভোটের বাকি আর মাত্র এক বছর। ক্রমশ তেতে উঠছে ত্রিপুরার রাজনীতি। এবার ত্রিপুরার মসনদ দখলে মরিয়া তৃণমূল। চলছে রাজনৈতিক কার্যক্রম ও সমগঠন বিস্তারের কাজ। ছাড়বার পাত্র নয় গেরুয়া শিবিরও। একুশে বাংলায় গোহারার হারের বদলা উত্তরপূর্বের বাঙালি রাজ্যে তৃণমূলকে দুর্মুশ করেই পেতে চায় বিজেপি। ফলে ক্ষমতায় দ্বিতীয়বার প্রাত্যাবর্তনই এখন পাখির চোখ পদ্ম বাহিনীর। গত কয়েক মাস ধরেই ত্রিপুরায় আনাগোনা বাড়িয়েছেন অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সেই পথে মোদীও। ফলে আনুষ্ঠানিকভাবে ভোটের দামামা বাজতে দেরি থাকলেও দুই ফুল শিবিরের লড়াইয়ে সরগরম ত্রিপুরার মাটি।