Advertisment

দুদিনের ভারত বনধ্: কয়েকটি জরুরি তথ্য

দশটি কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নের এক কনসোর্টিয়াম এই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। ধর্মঘট সমর্থন করছে এআইটিইউসি, সিটু, এইচএমএস, এআইটিইউসি, টিইউসিসি, এআইসিসিটিইউ।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
NULL

১০টি কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নের ডাকে এই ধর্মঘট (ফোটো- শোয়েব মাসুদি)

নরেন্দ্র মোদী নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের দমনমূলক নীতির প্রতিবাদে কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলির ডাকে দু দিনের ধর্মঘট শুরু হচ্ছে মঙ্গলবার থেকে। কেরালা এবং পশ্চিমবঙ্গ ছাড়া অন্য কোথাও এই ধর্মঘটের প্রভাব পড়ার সম্ভাবনা কম বলেই মনে করা হচ্ছে।

Advertisment

ব্যবসায়ীরা ছাড়াও এই ধর্মঘটে যোগ দিচ্ছে বামপন্থী কৃষক সংগঠনগুলি। সিপিএমের কৃষক সংগঠনে সারা ভারত কিষাণ সবার সাধারণ সম্পাদক হান্নান মোল্লা সংবাদ সংস্থা পিটিআই-কে জানিয়েছেন, "ট্রেড ইউনিয়নগুলির ডাকা ধর্মঘটের দিনে অর্থাৎ জানুয়ারির ৮ এবং ৯ তারিখ সারা ভারত কিষাণ সভা এবং ভূমি অধিকার আন্দোলনের তরফ থেকে  রেল রোকো এবং রাস্তা রোকো পালন করা হবে। কর্পোরেটের হাত থেকে গ্রামের কৃষকদের জমি রক্ষায় ব্যর্থ মোদী সরকারের বিরুদ্ধে এই  ধর্মঘট। সাধারণ ধর্মঘট সফল করতে দেশের কৃষকরা সর্বতো ভাবে সমর্থন জানাবেন।"

ধর্মঘটে শামিল কারা

দশটি কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নের এক কনসোর্টিয়াম এই ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে। ধর্মঘট সমর্থন করছে এআইটিইউসি, সিটু, এইচএমএস, এআইটিইউসি, টিইউসিসি, এআইসিসিটিইউ। এছাড়া ব্যাঙ্কিং এবং ইনসিওরেন্স সেক্টরের কর্মচারীরাও বনধের সমর্থনে দাঁড়িয়েছেন। প্রায় সমস্ত গুরুত্বপূর্ণ স্বাধীন কেন্দ্রীয় কর্মচারী সংগঠন, রাজ্য কর্মচারী সংগঠন এবং ব্যাঙ্ক, বিমা, টেলিকম ও অন্যান্য পরিষেবা ক্ষেত্রের কর্মীরা ছাড়াও ধর্মঘট সমর্থন করছেন সংগঠিত ক্ষেত্রের সমস্ত শিল্প ও পরিষেবা  কর্মচারীরা। বাদ নেই পরিবহণও।

এআইটিইউসি সাধারণ সম্পাদক অমরজিৎ কাউর সাংবাদিকদের বলেছেন, "দু দিনের দেশজোড়া ধর্মঘট পালনে হাতে হাত মিলিয়েছে  ১০টি কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়ন।  আমরা আশা করছি ২০ কোটি কর্মচারী ধর্মঘটে শামিল হবেন। বিজেপি নেতৃত্বাধীন কেন্দ্রীয় সরকারের শ্রমিক বিরোধী নীতির বিরুদ্ধে সংগঠিত ও অসংগঠিত ক্ষেত্রের সর্বাধিক সংখ্যক কর্মচারীরা ধর্মঘট পালন করবেন।"

ট্রেড ইউনিয়নগুলির দাবি

২০১৮ সালের সেপ্টেম্বর মাসে কেন্দ্রীয় ট্রেড ইউনিয়নগুলির সমাবেশ চলাকালীন এই ধর্মঘটের ডাক দেওয়া হয়। অভিযোগ ছিল, ন্যূনতম মজুরি, সকলের জন্য সামাজিক নিরাপত্তা, আর্থিক ক্ষেত্রে বেসরকারিকরণ সহ বিভিন্ন বিষয়ে ১২ দফা দাবিপত্র সরকার 'উদ্ধতভাবে উপেক্ষা' করছে। একই সঙ্গে ওই কনভেনশনে অভিযোগ করা হয়েছিল, "সরকারের পৃষ্ঠপোষকতায় সমাজে সাম্প্রদায়িক বিভাজন বাড়ছে।"

অমরজিৎ বলেন, "১২ দফা দাবিতে ছিল, সরকার কর্মসংস্থানে ব্যর্থ হয়েছে এবং ইউনিয়নগুলিকে অগ্রাহ্য করেছে। ২০১৫ সালের ২ সেপ্টেম্বরের ধর্মঘটের পর থেকে অর্থমন্ত্রী অরুণ জেটলির নেতৃত্বাধীন বিশেষ মন্ত্রিগোষ্ঠী শ্রমিক ইস্যু নিয়ে কোনও ইউনিয়নকে আলোচনায় ডাকেনি। এর পর আমাদের পক্ষে ধর্মঘটে যাওয়া ছাড়া আর কোনও উপায় ছিল না।"

বনধের বিরোধিতায় কারা

দুদিনের হরতালের বিরোধিতা করে বেশ কয়েকটি বণিক সংগঠন জানিয়েছে, তারা দোকান খোলা রাখবে। বাম সরকার শাসিত কেরালায় ধর্মঘটের প্রভাব পড়বে বলে আশা করা  হলেও কেরালা ট্রেড অ্যান্ড ইন্ডাস্ট্রিজ কোঅর্জিনেশন ফোরাম জানিয়েছে, তারা ধর্মঘটে অংশগ্রহণ করবে না। কেরালার আরও কয়েকটি সংস্থা দুদিনের ধর্মঘটে অংশগ্রহণ করবে না বলে জানিয়ে দিয়েছে।

পশ্চিমবঙ্গ সিটুর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, তৃণমূল সরকার যদি বন্ধ ব্যর্থ করার চেষ্টা করে তাহলে তারা প্রতিরোধ করবে। সিটু-র রাজ্য সভাপতি সুভাষ মুখোপাধ্যায় জানিয়েছেন, "রাজ্য সরকার বুঝেছে এবারের ধর্মঘট সফল হবে। সেজন্যই তারা ধর্মঘট ব্যর্থ করার চেষ্টা করছে। তৃণমূল সরকার যদি বনধ ভাঙার চেষ্টা করে তাহলে আমরা অবশ্যই প্রতিরোধ করব। এবারের বনধ সফল হবেই।"

Read Full Stoy in English

bharat bandh
Advertisment