আস্থা ভোটের আগের দিন পুদুচেরিতে আরও 'সংখ্যালঘু' শাসক জোট। রাজ্যের উপ-রাজ্যপাল হিসেবে সম্প্রতি দায়িত্ব নিয়েছেন টি সৌন্দর্যরাজন। দায়িত্ব গ্রহণের পরেই ২২ ফেব্রুয়ারি অর্থাৎ সোমবার পুদুচেরি বিধানসভায় আস্থা ভোট ঘোষণা করেন তিনি। সেই সূচির একদিন আগেই অর্থাৎ রবিবার রাজ্যের শাসক কংগ্রেস-ডিএমকে জোটের আরও দুই বিধায়ক ইস্তফা দিলেন। এই পদত্যাগের সঙ্গে রাজ্য বিধানসভায় শাসক জোটের বিধায়ক সংখ্যা দাঁড়ালো ১২। অপরদিকে বিরোধী বিজেপির বিধায়ক সংখ্যা ১৪।
সে রাজ্যের বিধানসভার মোট আসন ৩৩। ৭টি আসন ফাঁকা। জানা গিয়েছে, যে দুই বিধায়ক ইস্তফা দিলেন, তাঁদের একজন লক্ষ্মী নারায়ণ কংগ্রেসের টিকিটে জিতেছিলেন। অপর জন ভেঙ্কটেশন ডিএমকের টিকিটে জেতেন।
এদিন সংবাদমাধ্যমকে লক্ষ্মী নারায়ণ বলেন, 'দলে পর্যাপ্ত মর্যাদা পাচ্ছিলেন না। তাই এই সিদ্ধান্ত।' তাঁর বিধানসভা কেন্দ্রের মানুষের সঙ্গে কথা বলে পরবর্তী রাজনৈতিক সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত করবেন।' অপর পদত্যাগী বিধায়ক বলেন, 'আমি বিধায়ক পদ ছাড়লেও ডিএমকে-তে থাকব। বিধায়ক উন্নয়ন তহবিলে বরাদ্দ না বাড়ায় জনগণের কাজ করতে পারছিলাম না। তাই এই সিদ্ধান্ত।'
এদিকে, বিধানসভা নির্বাচনের এখনও কয়েক মাস বাকি আছে। কিন্তু সরকার নিয়ে সমস্যায় পুদুচেরির কংগ্রেস সরকার ৩৩ আসনের বিধানসভায় কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা এখন ১০।
গত বছরের মাঝামাঝি সময় থেকেই পুদুচেরি বিধানসভায় কংগ্রেসের বিধায়ক সংখ্যা ক্রমশই কমেছে। জন কুমারের পদত্যাগের পর মোট ৪ জন বিধায়ক কংগ্রেসের ক্যাবিনেট ছেড়ে বেরিয়ে যান। ২০১৬-র বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেস পুদুচেরিতে ৩০ টি আসনের মধ্যে ১৫ টি আসন দখল করেছিল। জোটসঙ্গী ডিএমকে পেয়েছিল ৪ টি আর এক নির্দল তাদের সমর্থন করেছিল।
এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন পুদুচেরির সরকার তাদের সংখ্যাগরিষ্ঠতা হারিয়েছে। গত কয়েকদিনে একদিকে যেমন চার কংগ্রেস বিধায়ক ইস্তফা দিয়েছেন, অন্যদিকে এক বিধায়কের সদস্যপদ বাতিল হয়ে গিয়েছে।
উল্লেখ্য, কংগ্রেসের তরফে ভি নারায়নস্বামী সরকার গঠন করেন। তবে শুরু থেকেই তাঁর অভিযোগ ছিল, উপরাজ্যপাল কিরণ বেদী তাঁকে কাজ করতে দিচ্ছেন না। সম্প্রতি মুখ্যমন্ত্রী উপ রাজ্যপালের বিরুদ্ধে অভিযোগ জানিয়ে রাষ্ট্রপতির সঙ্গেও সাক্ষাৎ করেছেন।