অযোধ্যার রাম মন্দিরের প্রধান পুরোহিত সত্যেন্দ্র দাস কংগ্রেসের ভারত জোড়া যাত্রায় সমর্থন দেওয়ার পরে, শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্রের সেক্রেটারি চম্পত রাইও কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর ‘দেশকে জানার’ প্রচেষ্টার প্রশংসা করলেন। সত্যেন্দ্র দাস তাঁর চিঠিতে কংগ্রেসের পদযাত্রায় যোগদানের আমন্ত্রণে সাড়া দিয়ে যাত্রার সাফল্য কামনা করেছেন। এর ঠিক একদিন পর মুম্বইতে, উত্তরপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী, যোগী আদিত্যনাথ, উত্তরপ্রদেশের ভারত জোড়ো যাত্রা নিয়ে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, ‘প্রত্যেকে দলেরই অনুষ্ঠান পরিচালনা করার স্বাধীনতা রয়েছে এবং "আমাদের মানুষের অনুভূতিকে সম্মান করতে হবে"।
প্রশ্ন হল যাত্রার উদ্দেশ্য এবং অভিপ্রায় কি”? তিনি আরও বলেন, যাত্রার মাধ্যমে কংগ্রেস যে জন সংযোগের বার্তা দিচ্ছে, তা মানুষের জন্য কাজের মধ্যে দিয়েও ফুটিয়ে তোলা যায়, যেটা মোদী সরকার দীর্ঘদিন ধরেই করে চলেছেন”। অযোধ্যার রাম মন্দিরের প্রধান পুরোহিত সত্যেন্দ্র দাস কংগ্রেসের ভারত জোড়া যাত্রায় সমর্থন দেওয়ার পরে, শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্রের সেক্রেটারি চম্পত রাইও কংগ্রেস নেতা রাহুল গান্ধীর ‘দেশকে জানার’ প্রচেষ্টার প্রশংসার পরিপ্রেক্ষিপ্তে যোগী আদিত্যনাথ বলেন, “আমাদের মানুষের অনুভূতিকে সম্মান করতে হবে"। প্রধানমন্ত্রী যেমন বলেন, আমরা দেশকে দলের উর্ধ্বে রাখি। কিন্তু অনেকের কাছে দল দেশের ঊর্ধ্বে”। তাওয়াং-এর ইস্যুতে সংসদে বিবৃতি প্রসঙ্গে বিরোধীদের দাবির পরিপ্রেক্ষিপ্তে তিনি বলেন, “এই ধরনের সংবেদনশীল ইস্যুতে বিবৃতি দেশকে সংযোগ করার জন্য নয়, বিভাজন বাড়ানোর জন্য এবং শত্রুদের উৎসাহিত করা, তাই এই ধরণের বিবৃতি এড়িয়ে চলে উচিত”।
আরও পড়ুন: < তড়িঘড়ি গতিপথ পরিবর্তন, গুয়াহাটিতে জরুরি অবতরণ কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রীর বিমান >
উল্লেখ্য মঙ্গলবারই উত্তরপ্রদেশে প্রবেশ করেছে রাহুল গান্ধীর যাত্রা। সেখানে সত্যেন্দ্র দাস লিখেছেন, ‘আপনি (রাহুল গান্ধী) সুস্থ থাকুন এবং দীর্ঘায়ু হন। দেশের উন্নতির জন্য আপনি যে কাজটি করছেন, তা হচ্ছে সর্বজন হিতায়, সর্বজন সুখায় (সকলের উন্নতি ও সুখ)। ভগবান রাম লালার আশীর্বাদ সবসময় আপনার সঙ্গে থাকুক।’
সত্যেন্দ্র দাসের বিবৃতি সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করা হলে শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্রের সেক্রেটারি মঙ্গলবার বলেন, ‘কে যাত্রার সমালোচনা করেছে? আমি রাষ্ট্রীয় স্বয়ংসেবক সংঘের একজন কর্মী। সংঘের কেউ কি যাত্রার সমালোচনা করেছেন? প্রধানমন্ত্রী কি যাত্রার সমালোচনা করেছেন? একজন যুবক পায়ে হেঁটে দেশকে বোঝার চেষ্টা করছেন, এটা প্রশংসার যোগ্য। এই আবহাওয়ায় ৫০ বছর বয়সি একজন ৩,০০০ কিলোমিটার পায়ে হেঁটে যাচ্ছেন। প্রকৃতপক্ষে, দেশকে খোঁজার জন্য প্রত্যেকেরই দেশজুড়ে পদযাত্রা করা উচিত।’
শুধু সত্যেন্দ্র দাস বা চম্পক রাই নন। হনুমানগড়ি মন্দিরের মহন্ত সঞ্জয় দাস, যাঁকে প্রধান পুরোহিত জ্ঞান দাসের উত্তরসূরি করা হয়েছে, তিনি ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেন, ‘জ্ঞান দাসজি মহারাজ আমন্ত্রণ পেয়েছিলেন। কিন্তু, আমরা এখন গঙ্গা সাগরে আছি। তাই আমরা মহারাজের আশীর্বাদ-সহ লিখিত প্রতিক্রিয়া জানাতে পারিনি। কিন্তু, গুরুদেবের আশীর্বাদ তাঁর (রাহুল গান্ধী) সঙ্গে আছে।
কেউ কোনও উদ্দেশ্যে পদযাত্রা করলে দোষের কিছু নেই।’ এদিকে শ্রী রাম জন্মভূমি তীর্থক্ষেত্রের সম্পাদক চম্পত রাই বলেছেন, রাম মন্দির ট্রাস্ট বুধবার বৈঠক করবে। তাঁদের মধ্যে রাহুলের পদযাত্রা নিয়ে মন্তব্যের জন্য কোনও ভিন্নমত নেই। বরং, রাম মন্দির নির্মাণ কমিটি ৫ জানুয়ারি একটি সভা করবে। নিজেদের মধ্যে বৈঠক করে রাম মন্দিরের পরবর্তী কার্যকলাপ স্থির করা হবে।