সোশ্যাল ডেমেক্রোটিক পার্টি অফ ইন্ডিয়ার নেতা খুনে দুই RSS কর্মীকে গ্রেফতার করল কেরল পুলিশ। শনিবার রাতে কেরলের আলাপ্পুঝা জেলায় খুন হন SDPI রাজ্য সম্পাদক কেএস শান। বাইকে চেপে ফেরার সময় তাঁর উপর চড়াও হয় দুষ্কৃতীরা। রাস্তায় পড়ে গেলে তাঁকে কুপিয়ে খুন করে চম্পট দেয় দুষ্কৃতীরা। শনিবার রাতে এই খুনের পর রবিবার সকালেও আলাপ্পুঝায় নিজের বাড়িতে খুন হন বিজেপির ওবিসি মোর্চার রাজ্য সম্পাদক রঞ্জিত শ্রীনিবাস। বিজেপি নেতা খুনে এখনও পর্যন্ত কাউকে গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, শনিবার রাতে সোশ্যাল ডেমোক্রেটিক পার্টি অফ ইন্ডিয়ার রাজ্য নেতা কেএস শান বাইকে চেপে ফিরছিলেন। একটি গাড়ি তাঁকে ধাক্কা দেয়। বাইক থেকে পড়ে যান তিনি। গাড়ি থামিয়ে কয়েকজন নেমে এসে তাঁকে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপাতে থাকে। আশঙ্কাজনক অবস্থায় ওই ব্যক্তিকে প্রথমে আলাপ্পুঝা হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। অবস্থার অবনতিতে তাঁকে কোচি হাসপাতালে পাঠানো হয়। সেখানেই চিকিৎসা চলাকালীন শনিবার মাঝরাতে তাঁর মৃত্যু হয়।
আলাপ্পুঝার পুলিস সুপার জি জয়দেব জানিয়েছেন, SDPI নেতা খুনে ধৃত আরএসএস কর্মী প্রসাদ এবং রথীশ। নিহতের গ্রাম মন্নাচেরী থেকে তাদের গ্রেফতার করা হয়েছে। খুনের ষড়যন্ত্রে তারাও যুক্ত ছিল বলে দাবি এসপি-র। ওই পুলিশকর্তা জানিয়েছেন, খুনে ব্যবহৃত গাড়িটি ধৃতরাই জোগাড় করে দিয়েছিল। SDPI নেতা খুনে আরও ৮ জনের যোগ রয়েছে বলে জানতে পেরেছে পুলিশ। ধৃত দু'জনকে জেরা করে বাকিদের খোঁজ করার চেষ্টা চলছে।
আরও পড়ুন- ভোটার পরিচয়পত্রের সঙ্গে আধার সংযুক্তি! কেন্দ্রের আনা বিলে বিরোধীদের আপত্তি
অন্যদিকে, রবিবার সকালে আলাপ্পুঝাতেই খুন হন বিজেপির ওবিসি মোর্চার রাজ্য সম্পাদক রঞ্জিত শ্রীনাবিস। বাড়িতে চড়াও হয়ে দুষ্কৃতীরা তাঁকেও কুপিয়ে খুন করে। তবে এখনও পর্যন্ত এই খুনে কাউকেই গ্রেফতার করতে পারেনি পুলিশ। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, ইতিমধ্যেই রঞ্জিত শ্রীনিবাসের বাড়ির কাছে থাকা একটি সিসিটিভির ফুটেজ পুলিশের হাতে এসেছে।
সেই ফুটেজে দেখা যাচ্ছে ১২ জন রঞ্জিতের বাড়িত ঢুকেছিল। ৬টি বাইকে এসেছিল দুষ্কৃতীরা। ফুজেট খতিয়ে দেখে দুষ্কৃতীদের খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। আলাপ্পুঝা জেলায় পরপর এই দুটি খুনে অভিযুক্তদের ধরতে রাজ্যজুড়ে তল্লাশি অভিযানে পুলিশ। প্রতিটি থানাকে সতর্ক করে দেওয়া হয়েছে। একাধিক রাস্তা, বন্দরগুলিতে পুলিশের কড়া নজরদারি রয়েছে।
Read full story in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন