ঘোষণা আগেই ছিল। সেই মোতাবেক রাইজিনা গিয়ে সলিসিটর জেনারেলের অপসারণের দাবি জানাল তৃণমূল। সোমবার রাষ্ট্রপতি ভবনে যান দলের দুই সাংসদ সুখেন্দু শেখর রায় এবং মহুয়া মৈত্র। রামনাথ কোবিন্দের হাতে দলীয় তরফে একটি স্মারকলিপি তুলে দিয়েছেন ওই দুই সাংসদ। সেই স্মারকলিপিতেই কারণ উল্লেখ করে তুষার মেহেতার অপসারণ দাবি করা হয়েছে। এদিন দিল্লি থেকেই সাংবাদিক বৈঠক করেন সুখেন্দু-মহুয়া।
Advertisment
সেই বৈঠকে সুখেন্দু শেখর শুভেন্দুর সঙ্গে তুষার মেহেতার বৈঠককে স্বার্থের সংঘাত বলে দাবি করেন। তৃণমূলের অভিযোগ, ‘ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্তের সঙ্গে দেশের সলিসিটর জেনারেলের সাক্ষাৎ বিচারব্যবস্থার প্রতি বিদ্রুপ এবং বিপজ্জনক।‘ দেখুন সেই স্মারকলিপি:
এদিকে, তৃণমূলের দুই সাংসদ যখন রাষ্ট্রপতির দরবারে, তখন শুভেন্দুর ওপর চাপ বাড়ালেন দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়। তিনি ট্যুইটে তুষার মেহেতাকে বিজেপির ‘সিক্রেট জেনারেল’ খোঁচা দিয়েছেন। তাঁর কটাক্ষ, ‘৭২ ঘণ্টা পরেও নিজের দাবির স্বপক্ষে সলিসিটর জেনারেল বাড়ির সিসিটিভি ফুটেজ প্রকাশ্যে আনতে পারলেন না। এত দুর্বল ডিফেন্স নিয়ে আপনি বরং বিজেপির সিক্রেট জেনারেল হিসেবে কাজ করুন।‘
অপরদিকে, নারদ মামলায় অভিযুক্ত রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। এই মামলার তদন্ত করছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দা সংস্থার আইনজীবী দেশের সলিসিটর জেনারেল তুষার মেহেতা। বৃহস্পতিবার সলিসিটর জেনারেলের বাড়ি গিয়ে তাঁর সঙ্গে সাক্ষাৎ করেন শুভেন্দু অধিকারী। যা নিয়ে আগেই প্রশ্ন তুলেছিল তৃণমূল। এই ইস্যুতে প্রধানমন্ত্রীকে চিঠি দিয়ে সলিসিটর জেনারেলের পদ থেকে তুষার মেহেতা অপসারণের দাবি তুলেছে জোড়া-ফুল শিবির। যদিও এরপরই এই ইস্যুতে মুখ খুলেছেন বিরোধী দলনেতা। বিধানসভায় তিনি সাফ বলেছেন, ‘আমার সঙ্গে তুষার মেহেতার দেখা বা বৈঠক হয়নি।’ তুষার মেহেতাও বাংলার বিরোধী দলনেতার সঙ্গে সাক্ষাতের বিষয়টি অস্বীকার করেছেন। সূত্রের খবর, মেহেতা জানিয়েছেন, শুভেন্দু অধিকারী তাঁর দফতরে গিয়েছিলেন, কিন্তু তাঁদের দেখা হয়নি
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন