মহারাষ্ট্রে 'গণতন্ত্রের হত্যা' করা হয়েছে। এই স্লোগান তুলে আজ সংসদরে উভয় কক্ষেই বিক্ষোভ দেখায় কংগ্রেস সাংসদরা। লোকসভা ও রাজ্য সভায় ওয়েলে নেমে পড়েন দলীয় সাংসদরা। এর জেরে অচল হয়ে পরে সংসদ। দুই কংগ্রেস সাংসদকে লোকসভা থেকে বার করে দেওয়ার নির্দেশ দেন স্পিকার ওম বিড়লা। এরপরই তুমল বচসা, ধস্তাধস্তি হয়। সোনিয়া গান্ধীর নেতৃত্বে কক্ষ ত্যাগ করেন হাত শিবিরের সব সাংসদ। এরপরই মহিলা সাংসদের সঙ্গে মার্শালরা দুর্ব্যবহার করেছেন বলে অভিযোগ করেন লোকসভার কংগ্রেস নেতা অধীর চৌধুরী। পরে সংসদ চত্বরেই বিক্ষোভ দেখান দলের সব সাংসদ।
এদিন শুরুতেই কংগ্রেস সাংসদ রাহুল গান্ধীকে বলতে বলেন লোকসভার স্পিকার। কিন্তু, মহারাষ্ট্রের রাজনীতিক পরিস্থিতিতে বিজেপি ও রাজ্যপালের ভূমিকার সমালোচনা করে তিনি আর কথা এগোতে চাননি। জানিয়ে দেন, 'আমার কিছু বলার নেই আজ, তবে মহারাষ্ট্রে গণতন্ত্রের হত্যা হয়েছে।' এরপরই সোচ্চার হন কংগ্রেস সাংসদরা। প্ল্যাকার্ড হাতে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন তারা। হইহট্টগোলের জেরে সভা কার্যত অচল হয়ে পড়ে। কংগ্রেসের দুই সাংসদ হিবি ইডেন ও টি এন প্রতাপনের হাতে ধরা প্ল্যাকার্ড সরিয়ে দেওয়ার নির্দেশ দেন স্পিকার ওম বিড়লা। কিন্তু তাতে কর্ণপাত করেননি ওই দুই সাংসদ। প্ল্যাকার্ডে লেখা ছিল 'গণতন্ত্রের হত্যা বন্ধ হোক।'
আরও পড়ুন: মহারাষ্ট্রে আস্থাভোটের রায় মঙ্গলবার
এরপরই মার্শাল ডেকে 'অবাধ্য' দুই সাংসদকে সভা থেকে বার করে দেওয়ার নির্দেশ দেন স্পিকার। সেই সময় মার্শালদের বাধা দিতে এগিয়ে যান কংগ্রেসের মহিলা সাংসদরা। এর অগ্রভাগে ছিলেন জ্যোতিমণি ও হরিদাস। তাঁরা অভিযোগ করেন মার্শালরা দুর্ব্যবহার করেছেন। লিখিত অভিযোগও জানান ওই দুই কংগ্রেস সাংসদ। জ্যোতিমণি বলেন, 'কোনও মহিলা সুরক্ষা কর্মী ছিল না। মার্শালরা আমাদের সঙ্গে দুর্ব্যবহার করেছে। এই ঘটনায় আমরা বিধ্বস্ত ও অপমানিত।'
লোকসভায় কংগ্রেসের দলনেতা অধীর চৌধুরী বলেন, 'মহিলা সাংসদদের সঙ্গে দুর্ব্যবহারের মত ঘটনা আগে কখনও ঘটেনি। অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে কী ব্যবস্থা নেওয়া হয় তা দেখার অপেক্ষায় রইলাম।'
Read the full story in English