Advertisment

সংবিধানের জালে জড়িয়ে গদি বাঁচাতে মোদীকে ফোন ঠাকরের

গত বছরের ২৮ নভেম্বর শপথ নেন ঠাকরে, এবং চলতি বছরের ২৪ মে'র মধ্যে তাঁকে বিধানসভার দুই কক্ষের যে কোনও একটিতে নির্বাচিত হতে হবে।

author-image
IE Bangla Web Desk
New Update
shiv sena uddhav thackeray

নরেন্দ্র মোদীর সঙ্গে উদ্ধব ঠাকরে, ফাইল ছবি

রাজ্য বিধানসভায় নিজের সদস্য পদ নিয়ে সাংবিধানিক জালে জড়িয়ে পড়ে এবার সরাসরি প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর কাছে সাহায্যের আবেদন জানালেন মহারাষ্ট্রের মুখ্যমন্ত্রী তথা শিবসেনা সুপ্রিমো উদ্ধব ঠাকরে। এমনটাই সূত্রের খবর।

Advertisment

এক সূত্রের কথায়, "উনি (ঠাকরে) নিজের মনোনয়ন নিয়ে কথা বলতে প্রধানমন্ত্রীকে ফোন করেন। সাহায্য চেয়ে বলেন, মনোনীত না হলে তাঁকে পদত্যাগ করতে হবে।" ওই সূত্র আরও জানায়, প্রধানমন্ত্রী বলেছেন যে এ ব্যাপারে বিশদ জেনে তিনি খতিয়ে দেখবেন।

রাজ্যপালের মনোনয়ন 'কোটা' থেকে মহারাষ্ট্র বিধানসভার উচ্চকক্ষে ঠাকরের মনোনয়নের সুপারিশ যদিও ইতিমধ্যেই করে দিয়েছে মহারাষ্ট্রের মন্ত্রীগোষ্ঠী, এই মনোনয়ন অনুমোদন করেন নি রাজ্যপাল বিএস কোশিয়ারি। কিছু বিজেপি নেতার মতে, এই অনুমোদনের পথে বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে জনপ্রতিনিধিত্ব আইন, ১৯৫১-র কয়েকটি বিধান। ওয়াকিবহাল এক দলীয় নেতার বক্তব্য, এই সমস্যা সমাধানে বিজেপির সহযোগিতা চাইছেন ঠাকরে।

আরও পড়ুন: সংকটকালে রাহুল গান্ধীই মডেল বিরোধী নেতা: শিবসেনা

ওই নেতার কথায়, "যেহেতু উনি (ঠাকরে) জানেন যে প্রধানমন্ত্রীই দলের হয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেবেন, তাই সরাসরি তাঁকেই আবেদন জানিয়েছেন। উনি চান, মহারাষ্ট্রের বিজেপি নেতাদের নির্দেশ দিন মোদীজি, যেহেতু শিবসেনা মহারাষ্ট্রে বিজেপির সঙ্গে যা করেছে, তার পর আর তাদের সঙ্গে সহযোগিতা করতে চায় না রাজ্য বিজেপি।"

গত বছরের ২৮ নভেম্বর শপথ নেন ঠাকরে, এবং চলতি বছরের ২৪ মে'র মধ্যে তাঁকে বিধানসভার দুই কক্ষের যে কোনও একটিতে নির্বাচিত হতে হবে। করোনাভাইরাস মহামারীর জেরে ইতিমধ্যে রাজ্যসভা নির্বাচন, বেশ কিছু উপনির্বাচন, এবং পুরসভা নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন। এই পরিস্থিতিতে মহারাষ্ট্র বিধানসভার উচ্চকক্ষের দুটি শূন্য আসনের একটিতে ঠাকরের মনোনীত হওয়া নিয়ে সৃষ্টি হয়েছে আইনি জটিলতা। এর কারণ, জনপ্রতিনিধিত্ব আইনের নিয়ম হলো যে আসনের অবশিষ্ট মেয়াদ এক বছরের কম হলে সেই আসনে কোনও প্রার্থীকে মনোনীত বা নির্বাচিত করা যাবে না। মহারাষ্ট্র বিধানসভার ওই দুটি আসনের মেয়াদ ফুরিয়ে যাচ্ছে ৬ জুন।

প্রত্যাশিতভাবেই রাজ্যপাল কোশিয়ারির বিরুদ্ধে রাজনৈতিক প্রতিবাদে সরব হয়েছে বিজেপির একদা জোটসঙ্গী শিবসেনা, কিন্তু স্থানীয় বিজেপি নেতৃত্বের মনে সহযোগিতার কোনও ভাবনাই নেই। পূর্বোক্ত বিজেপি নেতার কথায়, "শিবসেনা শুধু যে বিজেপির সঙ্গে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে তাই নয়, ক্ষমতায় আসার পর থেকে বিজেপির প্রতি যথেষ্ট শত্রুতাপূর্ণ আচরণ করেছে। এমনকি COVID সঙ্কটের সময়েও স্থানীয় বিজেপি শাখা বা কেন্দ্রের সঙ্গে সহযোগিতা করে নি রাজ্য সরকার। কেন্দ্রের দেওয়া খাদ্যশস্য পর্যন্ত বিতরণ করে নি।"

আরেক রাজ্য বিজেপি নেতার মন্তব্য, "উদ্ধব ঠাকরেকে কেন সাহায্য করবে বিজেপি? তাঁর দল তো আগে আমাদের জিজ্ঞেস করত, আমাদের বিধায়ক কবে মুখ্যমন্ত্রী হচ্ছেন। এখন ওরা চায় আমরা বলে দিই কখন ওদের মুখ্যমন্ত্রী বিধায়ক হবেন?"

ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন

Advertisment