পুরোনো প্রতীকের প্রতি মায়া ত্যাগ করল শিবসেনার উদ্ধব গোষ্ঠী। বদলে তিনটি বিকল্প প্রতীক বেছে নিলেন উদ্ধবরা। এর আগে নির্বাচন কমিশন জানিয়ে দেয়, তারা শিবসেনার তির-ধনুক প্রতীক বিবাদমান কোনও গোষ্ঠীকেই দেবে না। বদলে বিকল্প প্রতীক বেছে নিতে হবে শিবসেনার বিবাদমান গোষ্ঠীগুলোকে।
সূত্রের খবর, উদ্ধব গোষ্ঠী ত্রিশূল, উদীয়মান সূর্য ও মশাল প্রতীক বেছে নিয়েছে। এর মধ্যে তারা একটা প্রতীক পাবে। উদ্ধব গোষ্ঠীর তরফে এই ব্যাপারে দক্ষিণ মুম্বইয়ের শিবসেনা সাংসদ অরবিন্দ সাওয়ান্ত বলেন, 'আমরা ইতিমধ্যেই নির্বাচন কমিশনকে চিঠি দিয়ে জানিয়ে দিয়েছি যে আমাদের কোন প্রতীকগুলো পছন্দ।'
লক্ষণীয়ভাবে, গত বছরের সেপ্টেম্বরেই পড়ে থাকা প্রতীকগুলো কী কী, তা নিজেদের ওয়েবসাইটে জানিয়ে দিয়েছিল নির্বাচন কমিশন। বেছে নেওয়া তিনটে প্রতীকের মধ্যে কোনটা তাঁদের বেশি পছন্দ? এই ব্যাপারে আর কিছুই জানায়নি উদ্ধব গোষ্ঠী। গোটাটাই ছেড়ে দিয়েছে কমিশনের ওপর। রবিবার সন্ধ্যা ৬টায় তাঁর গোষ্ঠীর নেতা-কর্মীদের প্রতীক বাজেয়াপ্ত হওয়ার ব্যাপারটা জানিয়েছেন উদ্ধব নিজেই।
তবে, উদ্ধবরা পছন্দসই প্রতীকের তালিকা বানিয়ে ফেললেও একনাথ শিণ্ডে গোষ্ঠী এখনও কমিশনকে তাদের পছন্দের তালিকাটা দেয়নি। কারণ, শিণ্ডে গোষ্ঠীর নেতা-কর্মীরা এখনও তির-ধনুক প্রতীক পাওয়ার ব্যাপারে অনড়। এই ব্যাপারে শিণ্ডে গোষ্ঠীর তরফে মন্ত্রী তথা মুখপাত্র দীপক কেশরকর বলেন, 'নির্বাচন কমিশনের যা সিদ্ধান্ত নিয়েছে, সেটা আমাদের প্রতি অবিচার ছাড়া কিছু না। আমরা এখনও তির-ধনুক প্রতীক চাইছি। কারণ, এটা আমাদের অধিকার। আমরাই প্রকৃত শিবসেনা। প্রতীক বাজেয়াপ্ত হওয়ায় তাই সত্যিই দুঃখ পেয়েছি।'
আরও পড়ুন- বর্ণহীন হিন্দু সমাজের আহ্বান আরএসএস প্রধান ভাগবতের, নজর ঘোরাতে? প্রশ্ন নানা মহলের
শিণ্ডে গোষ্ঠীর অভিযোগ, উদ্ধবের নেতৃত্বাধীন শিবসেনার গোষ্ঠী সময়মতো কমিশনকে তাদের বক্তব্য জানায়নি। সেই জন্যই কমিশন প্রতীক বাতিল করেছে। এই ব্যাপারে কেশরকর বলেন, 'ওরা সময়মতো নিজেদের বক্তব্য জানায়নি। ওরা আরও সময় চেয়েছে। তার জন্যই নির্বাচন কমিশন প্রতীক বাজেয়াপ্ত করেছে। এখন ওরা আমাদের আর নির্বাচন কমিশনের সমালোচনা করছে। ওরা স্রেফ জনগণের সহানুভূতি আদায়ের চেষ্টা চালাচ্ছে। আমরা নির্বাচন কমিশনের সিদ্ধান্ত মেনে নিয়েছি। তবুও আমরা কমিশনকে সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার আবেদন জানাব।'
Read full story in English