আমাদের দলের নাম কাউকে দিয়ে দেওয়ার অধিকার নির্বাচন কমিশনের নেই। এবার এক্তিয়ারের প্রশ্ন তুলে নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সম্মুখসমরে নামলেন শিবসেনার উদ্ধব বালাসাহেব ঠাকরে গোষ্ঠীর নেতা উদ্ধব ঠাকরে। এর আগে নির্বাচন কমিশন নির্দেশ দিয়েছে, একনাথ শিণ্ডে গোষ্ঠী শিবসেনার নাম এবং প্রতীক তির-ধনুক পাবে। গত ১৭ ফেব্রুয়ারি কমিশন এই নির্দেশ দিয়েছিল। এই ব্যাপারে অভিযোগ জানিয়ে উদ্ধব ঠাকরে সুপ্রিম কোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন। আগামী ৩১ জুলাই, সুপ্রিম কোর্টে এই মামলার শুনানি রয়েছে। এই ব্যাপারে কথা বলতে গিয়ে সোমবার উদ্ধব ঠাকরে বলেন, 'এর আগেও দল ভেঙেছে। কিন্তু, এবার যেটা হল, গোটা দলটাই চুরি হয়ে গেল। আমাদের দলের নাম ও প্রতীক কাউকে দিয়ে দেওয়ার অধিকার নির্বাচন কমিশনের নেই।'
মহারাষ্ট্রের বিদর্ভ এলাকার অমরাবতী জেলায় সফরকালে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়েছিলেন উদ্ধব। সেই সময় মহারাষ্ট্রের প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী প্রশ্ন বলেন, 'শিবসেনা নামটা আমার ঠাকুরদা কেশব ঠাকরে দিয়েছিলেন। আর, তিনি কাউকে এটা চুরি করতে দেবেনও না। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে নির্বাচন কমিশন জানিয়েছে, শিবসেনা নাম ও তির-ধনুক প্রতীক পাবে শিণ্ডে গোষ্ঠী।' উদ্ধব আরও জানিয়েছেন, এই পরিস্থিতিতেও তিনি ও তাঁর সংগঠন আসন সমঝোতার প্রস্তাব পেয়েছেন। বঞ্চিত বহুজন আঘাড়ি তাঁদেরকে এই আসন সমঝোতার প্রস্তাব দিয়েছে। উদ্ধব জানিয়েছেন, সেই প্রস্তাব আনুষ্ঠানিকভাবে পেলে তাঁরা বিষয়টি সম্পর্কে ভাবনাচিন্তা করবেন।
আরও পড়ুন- ‘বিজেপি কোনঠাসা হলেই, চার্জশিটের পালা শুরু’, এজেন্সির অপব্যবহার নিয়ে এবার সরব তেজস্বী
তাঁর মুখ্যমন্ত্রিত্ব নিয়েই কি যাবতীয় গন্ডগোলের সূত্রপাত? সেই কারণেই ভেঙে গেল শিবসেনা? একনাথ শিণ্ডেরা দল ছেড়ে বেরিয়ে গেলেন? সাংবাদিকদের প্রশ্নের মুখে এই অভিযোগ অস্বীকার করেছেন উদ্ধব ঠাকরে। তিনি জানিয়েছেন, 'মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার কোনও ইচ্ছা আমার ছিল না। আমি শুধু চেয়েছিলাম শিবসেনা থেকে কেউ মুখ্যমন্ত্রী হোক। আমি বালাসাহেব ঠাকরেকে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলাম যে শিবসেনা থেকে কেউ মুখ্যমন্ত্রী হবেন।' এর আগে রবিবার বিদর্ভের যাবতমলে এক সাংবাদিক বৈঠকে উদ্ধব ঠাকরে জানিয়েছেন, বিজেপি অতীতে শিবসেনার সিদ্ধান্তকে সম্মান করেছে। উদ্ধব জানিয়েছেন, ২০১৯ সালের মহারাষ্ট্র বিধানসভা নির্বাচনের আগে বিজেপির অন্যতম শীর্ষ নেতা অমিত শাহর সঙ্গে তিনি বৈঠক করেছিলেন। সেই সময় জয়ী হলে কে মুখ্যমন্ত্রী হবে, তাঁরা যৌথভাবে সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন।