Uma Bharati: আমলাদের কাজ নেতাদের জুতো বহন করা। বিতর্কিত মন্তব্য করে ফের খবরে বিজেপি নেত্রী উমা ভারতী। যদিও পরে এই মন্তব্যের প্রেক্ষিতে তাঁর সাফাই, ‘ওবিসি সম্প্রদায়ের এক প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে মুখ ফসকে ওই মন্তব্য করেছি।‘ কিন্তু সোশাল মিডিয়া রেয়াত করেনি প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রীকে। তাঁর মন্তব্যের ভাইরাল ভিডিও ঘিরেই এখন তুঙ্গে চর্চা।
ঠিক কী বলেছেন উমা ভারতী? ভাইরাল ভিডিওয় দেখা গিয়েছে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী বলছেন, ‘আপনারা জানেন না আমলাতন্ত্র কিছুই না। আমাদের জুতো বহন ওদের কাজ। চপ্পল বহনই আমলাতন্ত্র। আমরাও সেই কাজে সম্মতি দিয়ে দিই।‘
লাল ফিতের ফাঁসে আটকে থাকে অনেক সিদ্ধান্ত এবং তাঁর রূপায়ন। যাকে রাজনীতির ভাষায় আমলাতন্ত্র বলা হয়। সেই প্রসঙ্গে উমা ভারতী বলেছেন, ‘আপনারা মনে করেন নেতাদের নিয়ন্ত্রণ করে আমলাতন্ত্র? প্রথমে ওরা আমদের সঙ্গে আলোচনা করে, তারপর আমলাতন্ত্রের মাধ্যমে ফাইল তৈরি হয় এবং তারপর সেই ফাইলের প্রস্তাব কার্যকর হয়। আমি ১১ বছর কেন্দ্রের মন্ত্রী, একটা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ছিলাম। প্রথমে মন্ত্রীদের সঙ্গে আলোচনা হয়, তবেই ফাইল নড়ে।‘
এদিকে, কাপড় দিয়ে যায় চেনা। রাখি সাওয়ান্ত আর মহাত্মা গান্ধির জনপ্রিয়তা বিচারে এভাবেই তুলনা টেনেছেন উত্তর প্রদেশ বিধানসভার অধ্যক্ষ। প্রবীণ বিজেপি নেতা তথা ইউপি বিধানসভার অধ্যক্ষ হৃদয় নারায়ণ দীক্ষিত। শনিবার উন্নাওয়ের বঙ্গামাউ এলাকায় দলের প্রবুদ্ধ সম্মেলনের প্রধান বক্তা ছিলেন তিনি। তখনই হৃদয় নারায়ণের মন্তব্য, ‘কাপড় খোলা দিয়ে যদি একটা মানুষের পরিচয় বিচার হয়, তাহলে মহাত্মা গান্ধির চেয়ে রাখি সাওয়ান্ত বেশি জনপ্রিয় হতেন।‘ তাঁর এই মন্তব্যের পরেই রাজ্য রাজনীতিতে বিতর্কের ঝড়। বিপদ বুঝে পরিস্থিতি সামলানোর চেষ্টা করেন এই প্রবীণ রাজনীতিবিদ। তিনি বলছেন, ‘খানিকটা বিষয়ের বাইরে গিয়েই গান্ধিজির প্রশংসা করতে চেয়েছেন।‘
এদিকে, বিধানসভা ভোটের আগে রাজ্যব্যাপী প্রবুদ্ধ সম্মেলন আয়োজিত করেছে বিজেপি। উন্নাও জেলার বিধায়ক হিসেবে তাঁকে আমন্ত্রণ জানিয়েছিল গেরুয়া শিবির। যদিও ইউপি বিধানসভার অধ্যক্ষর এই মন্তব্যের একটা ভিডিও ভাওরাল হয়েছে। সেই ভিডিওয় ঠিক কী বলেছেন তিনি? প্রবীণ রাজনীতিবিদ বলেছেন, ‘গান্ধিজি কাপড় কম পরতেন। ধুতি পরতেন। উনাকে বাপু বলা হত। এবার যদি কাপড় খুলে কেউ মহান হয়ে যান, তাহলে রাখি সাওয়ান্ত মহাত্মা গান্ধির চেয়ে বেশি জনপ্রিয় হতেন।‘
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন