আগামিকালই ত্রিপুরা সফর অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের। তার ঠিক ২৪ ঘণ্টা আগে আগরতলায় থানার বাইরে তৃণমূলের উপর হামলার অভিযোগে ক্ষোভ উগরে দিলেন সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক। বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা হামলা চালিয়েছে অভিযোগ করে বিপ্লব দেব সরকারকে তুলোধনা করলেন অভিষেক।
রবিবার সকালে জিজ্ঞাসাবাদের জন্য যুব তৃণমূলের সভানেত্রী সায়নী ঘোষ-সহ বেশ কয়েকজন নেত্রীকে আগরতলা পূর্ব মহিলা থানায় ডেকে পাঠানো হয়। তারপরই শুরু হয় উত্তেজনা। অভিযোগ, বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা থানায় ঢুকে তাঁদের উপর হামলা চালায়। তৃণমূলের দাবি, থানার বাইরে লাঠি হাতে, হেলমেট পরে দাঁড়িয়ে ছিল বিজেপির কর্মী-সমর্থকরা। সায়নী এদিন থানায় ঢুকতেই হামলা চালায় বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। তৃণমূল নেতা সুবল ভৌমিকের গাড়িও ভাঙচুর করা হয়েছে বলে অভিযোগ।
হিট অ্যান্ড রানের অভিযোগে সায়নীকে থানায় ডাকা হয় জেরা করার জন্য। এদিন তিনি থানায় ঢোকেন কয়েকজন তৃণমূল নেতার সঙ্গে। তৃণমূলের অভিযোগ, থানায় আসার জন্য অপেক্ষা করছিল বিজেপি আশ্রিত দুষ্কৃতীরা। পরিকল্পিত ভাবে হামলা চালানো হয়েছে তাঁদের উপর। সুবল ভৌমিকের অভিযোগ, পুলিশের সামনেই তাঁদের উপর ইট-পাথর ছোড়া হয়। পুলিশকে কাজে লাগিয়ে হামলা করছে বিজেপি।
আরও পড়ুন ত্রিপুরায় সায়নীদের থানায় ডেকে হামলা, রক্তাক্ত তৃণমূল নেতা-কর্মীরা, কাঠগড়ায় বিজেপি
ঘটনার ভিডিও টুইট করে অভিষেকের আক্রমণ, "বিপ্লব দেব এতটাই নির্লজ্জ যে সুপ্রিম কোর্টের আদেশকে পাত্তা দিচ্ছে না। তিনি বার বার গুন্ডা পাঠিয়ে আমাদের সমর্থক ও মহিলা প্রার্থীদের উপর হামলা করাচ্ছেন, নিরাপত্তা দেওয়ার বদলে। ত্রিপুরায় বিজেপি সরকারের শাসনে গণতন্ত্রের প্রহসন হচ্ছে।"
এই ঘটনার তীব্র নিন্দা করে তৃণমূল মুখপাত্র কুণাল ঘোষ বলেছেন, "ত্রিপুরায় জঙ্গলের রাজত্ব চলছে। থানায় ডেকে এনে মেরে ফেলার ছক ছিল।" এদিন থানার বাইরে পরিস্থিতি অগ্নিগর্ভ হলে সামাল দিতে নামে পুলিশ। ব্যাপক লাঠিচার্জ করে পুলিশ। অন্যান্য থানা থেকে চলে আসে বিশাল পুলিশ বাহিনী। মোতায়েন করা হয় আধা সামরিক বাহিনীর জওয়ানদের।
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন