'সম্পূর্ণ অগ্রহণযোগ্য' এবং 'বর্বরোচিতভাবে কেন্দ্রীকরণের চেষ্টা'। জিএসটি ঘাটতিপূরণ নিয়ে মোদী সরকারের পরামর্শকে এইভাবেই নিশানা করলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী ডঃ অমিত মিত্র। কেন্দ্রের পরামর্শ মানলে রাজ্যেগুলোর অর্থিক স্বাস্থ্যহানি হবে বলে মনে করনে তিনি। এছাড়া কেন্দ্রীয় সরকারের প্রস্তাবে যুক্তরাষ্ট্রীয় পরিকাঠামো ভেঙে পড়বে বলেই দাবি করেছেন ডঃ মিত্র। কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নীর্মলা সীতারমনের 'ভগবানে মার' মন্তব্যের পাল্টা ডঃ মিত্র বলেন এটা আসলে 'প্রতারকের মার'।
গত ২৭ জুলাই জিএসটি কাউন্সিলের ৪১তম বৈঠক হয়। তারপরই কোভিড পরিস্থিতিকে ‘ভগবানের মার’ বলে উল্লেখ করেছিলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারমন। তিনি জানিয়েছিলেন যে, চলতি অর্থবর্ষে রাজ্যগুলি থেকে কেন্দ্রের প্রায় ৩ লক্ষ কোটি টাকা কম আয় হবে। তার মধ্যে সেস বাবদ আয় রয়েছে প্রায় ৬৫ হাজার কোটি টাকা। এই টাকা কেন্দ্রের পক্ষে মেটানো সম্ভব নয়।
এই ক্ষতিপূরণ মেটাতে রাজ্যগুলিকে ২টি বিকল্পের হদিশ দিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। প্রথমত, গোটা ২.৩৫ লক্ষ কোটি টাকাই সরাসরি ঋণ গ্রহণ। দ্বিতীয়ত, শুধুমাত্র জিএসটি বাবদ ক্ষতির অংশটুকু রিজার্ভ ব্যাঙ্কের সাহায্যে ঋণ গ্রহণের মাধ্যমে পূরণ।
মোদী সরকারের এই সিদ্ধান্তের তুমুল সমালোচনা করেন বাংলার অর্থমন্ত্রী অমিত মিত্র। তাঁর কথায়, বিজেপি শাসিত সহ ১৫ বড় রাজ্যই সীতারমনের পরামর্শের প্রবল প্রতিবাদ জানিয়েছে। রাজ্যের অর্থমন্ত্রীর দাবি, টাকা দিতে পারলে রাজ্যের বদলে কেন্দ্রীয় সরকারেরই ধার নেওয়া উচিত। এরপরই জিএসটি নেটওয়ার্কের প্রতিষ্ঠাতা নন্দন নিলেকানির বক্তব্য তুলে ধরে তিনি বলেন, প্রায় ৭০ হাজার কোটি খেলাপি লেনদেনের ফলে রাজস্ব ক্ষতি হচ্ছে।
ডঃ মিত্রের দাবি, 'করোনা পরিস্থিতির আগে ১৪ মার্চ কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী সীতারমন বলেছিলেন যে, রাজ্যকে জিএসটি বাবদ ক্ষতিপূরণ দিতে কেন্দ্র বাধ্য। এখন তারা সম্পূর্ণ উল্টো কথা বলছে। এটা দায় এড়ানোর কৌশল মাত্র।' এরপরই সীতারমনের 'ভগবানের মার' প্রসঙ্গ তুলে তিনি জানতে চান, 'এটা কি ভগবানে মার, নাকি প্রতারকের মার।' অর্থ ছাপিয়ে কেন্দ্র কেন ঋণ নিচ্ছে না তা নিয়ে প্রশ্ন তোলেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী।
Read in English
ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস বাংলা এখন টেলিগ্রামে, পড়তে থাকুন