লিঙ্গায়েতদের শক্ত ঘাঁটি। কংগ্রেসের পুরোনো ঘাঁটি গুন্ডলুপেট। কর্ণাটকের অন্যান্য অঞ্চলের মত এই অঞ্চলেও ১০ মে নির্বাচন। আর, সেই নির্বাচনের আগে গুন্ডলুপেট শাসক দলের জন্য উদ্বেগের কারণ হয়ে উঠেছে। এখানকার বাসিন্দারা রাজ্যের শাসকদল বিজেপির ওপর ক্ষুব্ধ। স্থানীয় কয়েকজন নেতা বিদ্রোহ করেছেন। এক নেতা তো এখান থেকে নির্দল প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতাও করছেন।
চামরাজানগর জেলার গুন্ডলুপেট, কেরল এবং তামিলনাড়ু উভয়েরই প্রবেশদ্বার। এটি 'বাঘের দেশ' নামে পরিচিত। এখানে বান্দিপুর জাতীয় বাঘ সংরক্ষণাগার আছে। সোমবার বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম প্রচারে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ গুন্ডলুপেট শহরে তিন কিলোমিটার রোড শো করেন। এই রোড শো প্রায় দুই ঘন্টা ধরে চলেছে। এই প্রসঙ্গে স্থানীয় এক বিজেপি নেতা জানিয়েছেন, 'অভ্যন্তরীণ সমীক্ষা রিপোর্ট দলের জন্য হতাশাজনক। বিষয়টি কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নজরে এসেছে। এই রোড শো লিঙ্গায়েত সম্প্রদায়ের ওপর দলের প্রভাব বোঝানোর জন্য করা হয়েছে।'
একটা সময় গুন্ডলুপেট পাঁচবারের বিধায়ক এইচ এস মহাদেব প্রসাদের নামের সঙ্গে সমার্থক হয়ে উঠেছিল। মহাদেব প্রসাদ জনতা দলের হয়ে এই আসন জিতেছিলেন। পরবর্তীতে জনতা দল (ইউনাইটেড) এবং জনতা দল (সেকুলারের হয়ে জিতেছেন) ১৯৯৪ সাল থেকে। সিদ্দারামাইয়া ২০০৫ সালে জেডি(এস) ছেড়ে যাওয়ার পর, প্রসাদ তাঁকে অনুসরণ করে কংগ্রেসে যান।
ফলস্বরূপ, গুন্ডলুপেটে জেডি(এস) ভেঙে পড়ে। আর, এই আসনে বিজেপির উত্থান শুরু হয়। ২০১৭ সালে প্রসাদ মারা যাওয়ার পর, তাঁর স্ত্রী এমসি মোহন কুমারী উপনির্বাচনে জয়লাভ করেন। কিন্তু, পরের বছর বিজেপির নিরঞ্জন কুমার প্রথমবারের মতো এই আসনে জয়লাভ করে দলের উপস্থিতি জোরালো করেন।
আরও পড়ুন- জাতীয় কুস্তি ফেডারেশনে যৌন হয়রানি, কে এই ব্রিজভূষণ?
বিজেপি এবারের নির্বাচনে গুন্ডলুপেটে নিরঞ্জন কুমারকে ফের প্রার্থী করেছে। আর, কংগ্রেস টিকিট দিয়েছে মহাদেব প্রসাদের ছেলে গণেশকে। আর, জেডি (এস) বর্তমান বিধায়কের প্রাক্তন সহযোগী কতবুর মঞ্জুনাথকে টিকিট দিয়েছে। নিরঞ্জন কুমারের অপর প্রাক্তন সহযোগী এমপি সুনীল এবার এখানকার নির্বাচনে নির্দল প্রার্থী হিসেবে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন।